পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○"● মেদিনীপুরের ইতিহাস । পুষ্করিণীটী আছে উহ। অতীব পুণ্যতোয় বলিয়া এ অঞ্চলে প্রসিদ্ধ । প্রতি বৎসর চৈত্র মাসের সংক্রাস্তির দিন এখানে একটি মেলা বলে। সে সময় অনেকেই এই পুষ্করিণীতে স্নান করিয়া পিতৃপুরুষগণকে পিণ্ড ও জল তর্পণ প্রদান করে। জলপ্রবাদ, উৎকলাধিপতি মুকুন্দদেব ও উৎকল রাজ্যের মন্ত্রী বিদ্যাধরের নামানুসারে ঐ দুইটি পুষ্করিণীর নামকরণ হইয়াছিল । কেশিয়াড়ীর দক্ষিণাংশে পাত্ৰম পুষ্করিণী ও উহার দক্ষিণ পূৰ্ব্বে দাড় পাত্ৰম পুষ্করিণী। ঐ স্থান এক্ষণে জঙ্গলে পূর্ণ হওয়ায় শৃগাল বরাহাদির লীলা নিকেতন হইয়াছে। প্রথমোক্ত পুষ্করিণীটী অন্দর মহালের এবং শেষোক্ত পুষ্করিণীটী সদর মহালের পুষ্করিণী বলিয়া এতাবৎকাল সকলে বলিয়া আসিতেছে। উড়িয়া ভাষায় সদরপ্রাঙ্গণ, বর্হিভূমি ও রাস্তাকে ‘দাগু’ বা দাড় বলিয়া থাকে এবং পাত্র ও মহাপাত্র শব্দে রাজকীয় প্রধান কৰ্ম্মচারীকে বুঝায়। আমরা মনে করি, উৎকলের হিন্দু রাজাদিগের আমলে এই স্থানে যে সকল রাজকৰ্ম্মচারী অবস্থান করিতেন তাহদের কাহারও মাত সদরে ও অন্দরে এই দুইটি জলাশর প্রতিষ্ঠা করায় উহাদের ‘পাত্রমা’ বা পাত্রের মাতা এইরূপ নামকরণ হইয়াছিল। কেশিয়াড়ীর বর্তমান পুলিশ ষ্টেশনের অনতিদূরে কাঞ্চনপুর পল্লীতে ‘নায়কা’ নামক পুষ্করিণীটা আছে। উহাকে পুরাতন কাছারীর সরকারী জলাশয় নামে অভিহিত করা হইয় থাকে। উহার পূর্বদিকে একটি পুরাতন প্রাসাদের ভগ্নাবশেষও দৃষ্ট হয়। ‘নায়ক উড়িষ্যার হিন্দু রাজাদের জামলের অন্যতম কৰ্ম্মচারী। সাধারনতঃ তহশীল কৰ্ম্মচারিগণ নির্দিষ্টরূপে এই উপাধি ধারণ করিতেন। ইহা হইতে অকুমান করা বাইতে পারে যে, উড়িষ্যার রাজাদিগের আমলে এখানে ধিনি রাজস্ব