পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ○"○ চলিতেছে। তিনি এখন মাঠের মধ্যে এক জীর্ণ মন্দিরে অবস্থান করিতেছেন । নারায়ণগড়ের বর্তমান জমিদারগণ দেবীর সামান্ত কিছু বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত করিয়া একজন সেবাকারী ব্রাহ্মণ নিযুক্ত করিয়া দিয়াছেন। মাঘী পূর্ণিমার সময় এখানে একটি মেলা বসিয়া থাকে। ব্ৰহ্মাণী দেবীর মন্দিরের অনতিদূরে রাণীসাগর বা রাণীয়া নামে একটি সুবৃহৎ পুষ্করিণী আছে। উহার আয়তন প্রায় দুই শত বিঘা। এইরূপ কিম্বদন্তী যে, রাজা গন্ধৰ্ব্বের পত্নী রাণী মধু মঞ্জরী একদিন নিশাবসানে স্বপ্ন দেখিয়াছিলেন যে, কুলদেবী তগবতী ব্ৰহ্মাণী তুষ্টায় কাতর হইয় তাহার নিকট জল চাহিতেছেন। রাণী কুলগুরুর নিকট এই স্বপ্ন বৃত্তাস্ত বলিলে তাহারই উপদেশ মত এই পুষ্করিণীট খনন করা হইয়াছিল। চৈতন্তদেব জগন্নাথ যাইবার সময় নারায়ণগড়ের ধলেশ্বর নামক অনাদি-লিঙ্গ মহাদেবের মন্দিরের সন্মুখস্থ প্রাঙ্গণে বহু শিষ্য সমভিব্যহারে হরিনাম সংকীর্তন করিয়া গিয়াছিলেন । ধলেশ্বর মহাদেব । চৈতন্যদেবের নারায়ণগড়ে অবস্থান কালে বহুলোক র্তাহার শিষ্য হইয়াছিল। গোবিন্দদাসের কড়চাতে লিখিত আছে যে, এই স্থানের ভবানী শঙ্কর ও বীরেশ্বর সেন নামক দুইজন ব্যক্তি মহাপ্রভুর শিল্প হইয় তাহার সঙ্গে শ্ৰীক্ষেত্রে গমন করিয়াছিলেন। খান্দার পরগণার স্ববিখ্যাত ভদ্রকালী দেবীও নারায়ণগড়ের রাজা গন্ধৰ্ব্ব পাল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। ভদ্রানী বা ভজকালী দেবীয় নামেই গ্রামের নাম ভদ্রকালী হইয়াছে। ::" প্রতি বৎসর চৈত্র সংক্রাত্তির দিন চড়ক পূজার সময় এই স্থানে একটি মেলা হয় এবং সেই উপলক্ষে বহু লোকেরও সমাগম হইয় থাকে । রাণী সাগর ।