পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిస8 মেদিনীপুরের ইতিহাস। স্বৰ্য্যকিরণে অপূৰ্ব্ব প্রভা বিশিষ্ট বহুষোজন পথ ব্যাপিত সুউচ্চ বালুকাস্ত,প শ্রেণী , অন্যদিকে— “দূরাদয়শ্চক্রনিভস্ত তন্ত্ৰী তমালতালীবনরাজিনীলা। আভাতি বেল লবণাম্বুরাশেদ্ধারানিবন্ধেব কলঙ্করেখা।” বঙ্কিমচন্দ্র সে দৃপ্ত দেখিয়া মোহিত হইয়া যান, র্তাহার কবি হৃদয় নাচিয়া উঠে। তিনি নবকুমারের মুখ দিয়া নিজের কথাই বলিয়া ८कगिब्रांप्इन, “त्रांश ! कि cमश्लिाम ! छद्म छद्माख्रब्र छूलिब न ।” কিন্তু পরক্ষণেই আবার “—সবিস্ময়ে দেখিলা অদূরে, ভীষণ দর্শন মূৰ্ত্তি।” তিনি ধবল শিখরমালা শোভিত ষে বালুকাস্ত পশ্রেণীর মনোরম দৃপ্ত দেখিয়া মোহিত হইয়াছিলেন, এখন দেখিলেন, সেই বালুকাস্তুপের নিয়ে চতুর্দিকে নিবিড় অরণ্য ; ব্যাঘ্ৰ, বরাহ প্রভৃতি নানাবিধ হিংস্র জন্তুতে পূর্ণ। তথায় আশ্রয় নাই, লোক নাই, আহাৰ্য্য নাই, পেয় নাই। সেই সুদর্শন অম্বুনিধিও তখন এক ভীষণ মূৰ্ত্তিতে র্তাহার নিকট প্রকটিত হইলেন। তাহার রোমাঞ্চ হইল, হৃদয় কাপিয়া উঠিল। প্রকৃতির তখন সেই ভীষণ দর্শন রূপ দেখিয় তাহার সেই কমনীয় মুর্ভির কথা ভুলিয়া গেলেন। এমন সময়, সেই গম্ভীরনাদি বারিধিতীরে অস্পষ্ট সন্ধ্যালোকে সৈকতভূমে দাড়াইয়া নবকুমারের ষ্ঠায় তিনিও শুনিলেন, কে যেন তাহার মানসপটে আবিভূত হইয়া বলিয়৷ গেল “পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ ? আইল।” বঙ্কিমচন্দ্র তাহাকে চিনিলেন। তিনি তাহারই হৃদয়াধিষ্ঠাত্রী দেবী-কল্পনা সুন্দরী। তাহার দিব্যচক্ষু খুলিয়া গেল—তিনি প্রকৃতির গেই কোমল ও কাঠার মুষ্ঠির মধ্য হইতে দুইখানি ছবি তাহার মানসপটে আঁকিয়া লইলেন। একখানি তাহার কাব্যের চরমস্বষ্টি নিছকঃ সৌন্দর্ঘ্যের প্রতিমূৰ্ত্তি