পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভৌমিক বিবরণ।
৪৩

“শালি-ধানস্য চোৎপাদ গাণ্ডিচাদেশে প্রজায়তে
কৃষকাণাং ভুরিবাসো যত্র নাস্তি চ কাননম্
প্রাণকরাথ্যো নৃপতিৰ্গণ্ডিচাদেশস্য শাসকঃ
মেদিনীকোষকারশ্চ যস্য পুত্রো মহানভূৎ
বিহায় গাণ্ডিচাদেশং মেদিনীপুরং জগাম সঃ। ৭৫৪”

 বঙ্গদেশে মুসলমানদিগের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হইলেও এ দেশের স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন হিন্দু রাজা ছিলেন। এ প্রদেশে প্রাণকর নামে ঐরূপ একজন রাজা রাজত্ব করিতেন। প্রাণকরের পুত্র মেদিনীকর কর্তৃক এই মেদিনীপুর নগর স্থাপিত হইয়াছিল এবং তাঁহারই নামানুসারে ইহার নামকরণ হইয়াছে। মেদিনীকরের প্রণীত মেদিনীকোষ একখানি প্রসিদ্ধ গ্রন্থ। শাস্ত্রী মহাশয় অনুমান করেন যে, ১২০০ হইতে ১৪৩১ খৃষ্টাব্দের মধ্যে মেদিনীকোষ লিখিত হইয়াছিল। সুতরাং অনুমান করা যাইতে পারে যে, উহারই মধ্যে কোন সময়ে মেদিনীপুর নগর স্থাপিত হয়।[১]

 মেদিনীপুর সহরেই মেদিনীপুর জেলার জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট-কালেক্টার, পুলিশ-সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট, সিভিল সার্জ্জন, একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, পোষ্টেল-সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট প্রভৃতি উচ্চপদস্থ রাজকর্ম্মচারিগণ অবস্থান করেন। মেদিনীপুর সহরে একটি জেলা বোর্ড আফিস এবং একটি সেণ্ট্রাল জেল আছে। এই জেলে সহস্রাধিক কয়েদী রাখিবার স্থান আছে। কয়েদীদের দ্বারা গালিচা, পাপোষ, বিছানার চাদর, বেতের চেয়ার, বেতের টেবিল প্রভৃতি নানাপ্রকার উৎকৃষ্ট দ্রব্যাদি প্রস্তুত হইয়া থাকে। মেদিনীপুর সহরের গেড়েরীরাও উৎকৃষ্ট কম্বল


  1. মেদিনীপুর শাখা সাহিত্য-পরিষদের ৪র্থ অধিবেশনের সভাপত্তি মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী মহাশয়ের অতিভাষণ।