পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
মেদিনীপুরের ইতিহাস।

প্রস্তুত করিয়া থাকে। গেড়েরীর ৪।৫ পুরুষ হইল, উত্তর পশ্চিম প্রদেশ হইতে আসিয়া এই সহরে বাস করিতেছে। উহাদের নিজেদেরই পালিত মেষ আছে এবং উহা হইতেই তাহার লোম সংগ্রহ করিয়া থাকে।[১] মেদিনীপুর সহরের স্বর্ণকারগণও নানা প্রকার বহুমূল্য অলঙ্কার প্রস্তুত করে। আজকাল মেদিনীপুরের চর্ম্মকারগণও উৎকৃষ্ট জুতা প্রস্তুত করিতেছে।

 সদর মহকুমার অন্যান্য প্রসিদ্ধ স্থানগুলির মধ্যে খড়্গপুর সহরের নাম সর্ব্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য। মেদিনীপুর সহর এই জেলার প্রধানখড়্গপুর। নগর হইলেও দিন দিন খড়্গপুরের যেরূপ শ্রীবৃদ্ধি হইতেছে, তাহ দেখিয়া মনে হয়, এক সময় খড়্গপুর শুধু এই জেলার নয়, সমস্ত ভারতবর্ষের মধ্যে একটি প্রসিদ্ধ স্থান হইয়া উঠিবে। কিঞ্চিদধিক বিশ বৎসর পূর্ব্বে খড়্গপুর একটা সামান্য পল্লী ছিল; বেঙ্গল-নাগপুর রেলপথের সংযোগস্থল হওয়ার পর হইতেই ইহার শ্রীবৃদ্ধি আরম্ভ হইয়াছে। খড়্গপুর হইতে মেদিনীপুরের দুরত্ব ৫।৬ মাইল মাত্র।

 মেদিনীপুর নগরীর দক্ষিণে প্রবাহিত, কংসাবতী নদীর পরপার হইতে “জগন্নাথ রাস্তা” নামে পরিচিত যে প্রশস্ত রাজপথটি উড়িষ্যা প্রদেশের মধ্যে চলিয়া গিয়াছে সেই রাজপথটার উপরেই খড়্গপুর সহরটী অবস্থিত। পূর্ব্বে এই স্থানে একখণ্ড তরুলতাবিহীন মরুভূমি তুল্য প্রস্তরময় সু-উচ্চ সুবিস্তৃত ভূমিখণ্ড ছিল। লোকে তাহাকে “খড়্গপুরের দমদমা” বলিত। এই দমদমাটি পার্শ্ববর্ত্তী সমতল ক্ষেত্র হইতে প্রায় ৪০ ফিট উচ্চ ছিল। ইহার উপর দণ্ডায়মান হইলে ৪।৫


  1. Review of the Industrial Position and Prospects in Benga in 1908. Special Report by Mr. J. G. Cumming I. C. S., p. 13. part II.