পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

jie . চণ্ডীকাব্য রচনা করিয়াছিলেন। শিবায়ন রচয়িতা রামেশ্বর ভট্টাচাৰ্য্য এই জেলাতেই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। উনবিংশ শতাব্দীর গরিষ্ঠ মহাপুরুষ ভারত-গৌরব প্রাতঃস্মরণীয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জন্মভূমিও এই মেদিনীপুর। বর্তমান যুগের রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের ইতিহাসেও মেদিনীপুরের স্থান কাহারও পশ্চাতে নর। পঞ্চদশ বর্ষ পূৰ্ব্বে কংশাবতী তীরে প্রাদেশিক সম্মিলনে মেদিনীপুরের অধিবেশনেই চরম স্বরাজবাদের মহামন্ত্র প্রথম উচ্চারিত হইয়াছিল। মেদিনীপুরের ইতিহাসে সেই সকল প্রাচীন ও আধুনিক কথার আলোচনা করা হইয়াছে । মেদিনীপুরের অতীত বা বর্তমান যে অসার বা গৌরবশৃন্ত নহে তাহা দেখানই এই গ্রন্থের উদ্দেপ্ত । তার পর বঙ্কিমচন্দ্র অঙ্গত্র লিথিয়াছেন—“বাঙ্গালার ইতিহাস চাই, নহিলে বাঙ্গালার ভরসা নাই। কে লিখিবে ? তুমি লিখিবে, আমি লিখিব, সকলেই লিখিবে । বে বাঙ্গালী তাহাকেই লিখিতে হইবে। ম। যদি মরিয়া যান, তবে মার গল্প করিতে কত আনন্দ । আর এই আমাদিগের সর্বসাধারণের মা জন্মভূমি বাঙ্গালী দেশ, ইহার গল্পে কি আমাদিগের আনন্দ নাই ? আইস আমরা সকলে মিলিয়৷ বাঙ্গলার ইতিহাসের অনুসন্ধান করি। যাহার যতদূর সাধ্য, সে ততদূর করুক ; ক্ষুদ্র কীট দ্বীপ নিৰ্ম্মাণ করে। একের কাজ নয়, সকলে মিলিয়া করিতে হইবে।” এই মহাজন বাক্যই আমাকে এই কার্য্যে অনুপ্রাণিত করিয়াছে। আমার ক্ষুদ্র শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করিয়াছে। ইহাই আমার নিবেদন । কাধি, মেদিনীপুর, | প্রযোগেশচন্দ্র বসু ।