পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Uలి মেদিনীপুরের ইতিহাস। কুঠারখানি ৭-১০ইঞ্চি দীর্ঘ, ৬ ৪০ ইঞ্চি প্রস্থ, এবং ০.৬৩ ইঞ্চি পুরু ; ওজনে প্রায় দুই সের। * বাঙ্গালার অন্যান্য পাৰ্ব্বত্য প্রদেশের স্থানে স্থানেও তাম্রনিৰ্ম্মিত নানাপ্রকার অস্ত্র আবিষ্কৃত হইয়াচ্ছে । পুরাতত্ত্ববিদূগণ আহূমান করেন, এই সকল অস্ত্র ‘তাস্ত্রের যুগের’ নিদর্শন। র্তাহারা প্রাগৈতিহাসিক যুগকে প্রধানতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন ;– প্রস্তরের যুগ (Stone Age), তাম্রের যুগ (Copper Age) ও লৌহের যুগ (Iron Age ) । তাহারা বলেন, তাম্রনিৰ্ম্মিত অস্ত্রসমূহ মানবজাতির সর্বপ্রাচীন ধাতব অস্ত্র। ইহার পূৰ্ব্বে আদিম মানব ধাতুর ব্যবহার জানিতেন না । তাহার তৎকালে প্রস্তুর-নিৰ্ম্মিত অস্ত্র ব্যবহার করিতেন । এই কারণে পণ্ডিতগণ ধাতব অস্ত্ৰ-নিৰ্ম্মাণকাল পৰ্য্যন্ত সময়ের নাম ‘প্রস্তরের যুগ’ দিয়াছেন। পরবত্তিকালে ধাতু আবিষ্কৃত হইলে মানবগণ শিলানিৰ্ম্মিত আয়ুধ পরিত্যাগ করিয়া ধাতুনিৰ্ম্মিত অস্ত্র ব্যবহার করিতে আরম্ভ করেন । { বোধ হয়, তাম্রের বহু পরে লৌহ আবিষ্কৃত হইয়াছিল ; সেই কারণে বহুকাল যাবৎ এতদ্দেশে তাম্রের ব্যবহার ছিল। পণ্ডিতগণ অনুমান করেন, খৃষ্ট-পূৰ্ব্বাদ চারি সহস্র হইতে দুই সহস্র খুষ্ট-পূৰ্ব্বাদ পর্য্যন্ত প্রাচীন বাবিরুষ (Babylon) দেশে তায়ের ব্যবহার ছিল। পরবত্তিকালে আর্য্য-বিজয়ের পর হইতে বাবিরুষ, মিশর ( Egypt) প্রভৃতি প্রাচীন দেশ-সমূহে লোহ-নিৰ্ম্মিত অস্ত্র-শস্ত্রের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। এই কারণে র্তাহারা অনুমান করেন, অর্ধ-বিগুয়ের সময়ে অথবা তাহার অব্যবহিত পরে লৌহের ব্যবহার আরম্ভ হয় এবং ক্রমশঃ তাম্রের ব্যবহার

  • Catalogue and Hand Book of the Archaelogical Collections in the Indian Museum part II p. 485. -

+ বাঙ্গালার ইতিহাসে–১ম ভাগ-রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় পৃঃ ১০–১১ ।