পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৬
নাটাই

উপর স্থাপন করিবে। অতঃপর তুলসী পত্রের উপরে সাতগাছি দুর্ব্বা দিবে। এই তিন স্তর একত্র এক “ভাগ” হইল। যতজন বালক বালিকার শুভবিবাহ কামনা করিবে ঐরূপ তত “ভাগ” করিতে হইবে। এইগুলি কদলী পত্রের উপর স্থাপন করিতে হয়।

 ইহা ব্যতীত, ভিজা চা’ল শিলে পিষিয়া প্রত্যেক বালক বালিকার জন্য সাতখানি ক্ষুদ্র চাপাটি প্রস্তুত করিবে। উহার তিনটে লবণ বর্জ্জিত, আর চারিটায় নুন সংযোগ করা হইয়া থাকে। ব্রতকথা শ্রবণের পর সরলমতি শিশুগণ উৎসাহ সহকরে ঐ চাপাটি ভক্ষণ করে। উভয়বিধ চাপাটি একপাত্রে মিশ্রিত করিয়া দেওয়া হয়। সর্ব্বাগ্রে লবণ সংযুক্ত চাপাটি তুলিয়া ভক্ষণ করিতে পারিলে শীঘ্র প্রজাপতির কৃপা লাভ হইবে, এরূপ মেয়েলী শাস্ত্রের নির্দ্দেশ। শিশুদের মধ্যে যাহারা কিঞ্চিৎ বয়স্ক তাহাদের কাহাকে রহস্যপ্রিয়া রমণী জিজ্ঞাসা করিলেন, আগে নুনের চাপাটি খেয়েছ তো? উত্তর। তা আমি মনে রেখেছি কি না।

 প্রঃ। তবে বোঝা গেছে, আলুনি খেয়েছ!

 উঃ। তাই আমি বল্লেম কি না।

 প্রঃ। তবে হয়েছে! তোমার কপাল ভাল, নুন খেয়েছ। তা বলতে হয়!

 উঃ। (অধোদৃষ্টি ও নীরব।)

 এ ব্রতে পুরোহিত আবশ্যক হয় না। গৃহকর্ত্রী সায়ংকালে স্বয়ং নাটাই দেবীর পূজা করেন। পূজান্তে সমবেত বালক বালিকাগণ আগ্রহ সহকারে কথা শ্রবণ করে।