পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ধনপতি সওদাগর।
৯১

ভাল, এই জন্যেই তোমাদের ডাকিয়েছি। আজ কয় বছর বাবৎ সওদাগর বাড়ীতে নাই। যে দারুণ রোগ শরীরে নিয়ে তিনি বিদেশ যাত্রা করেছেন, তা তোমাদের না বলাই ভাল। ব্যারাম শরীরে তাঁকে আমি যেতে কত নিষেধ করেছিলেম। তিনি মানা শুনলেন না; বল্লেন, “হাতে একটা পয়সা নাই, বাণিজ্যে না বেরুলে ঘরে ব’সে কি খাব”। তারপর এ পর্য্যন্ত তাঁর খবর নাই। ভাবনায় আমার ঘুম হয় না। এদিকে তিনি রাজোর দেনা রেখে গেছেন। এর মধ্যে যদি একটা ভাল মন্দ খবর এসে পড়ে, তবে ঠিক জেনো, আমি তোমাদের কাছে একটী পয়সারও দায়ী হতে পারবো না।

 দোকানীরা খাবার দেওয়া বন্ধ কল্লে। তারপর অনেক দিন চ’লে গেল। কিন্তু গিন্নির ভাবনা দূর হলো না। সতীনের ছেলে মেয়েরা বাড়ীতে আধ পেটা খেয়ে এখনও হেসে খেলে বেড়াচ্ছে! গিন্নি আর কত সইবেন? এবার তিনি নিজেই গরজ ক’রে ওদের সঙ্গে নিজের ছেলে মেয়েদের মাঠে পাঠিয়ে দিলেন।

 গিন্নি সেদিন ব্যস্ত হয়ে পথের পানে চেয়ে ব’সে আছেন, এমনি সময় ছেলেরা বাড়ী ফিরে এলো। ছোট ছেলে ও মেয়ে দৌড়ে এসে বল্লে, মা, দাদা ও দিদির সঙ্গে গিয়ে আজ যা পেয়েছি তা আর কি বলবো। তার কাছে সন্দেশ রসগোল্লা কোথা লাগে! জঙ্গলের ভিতর গাছে এত সুন্দর ও মিষ্টি পাকা ফল ঝুলে রয়েচে তা দেখলে চো’ক জুড়ায়, আর একবার মুখে দিলে আর কিছুই খেতে সাধ হবে না। আমরা ফলের নাম জানি না, বোধ হয় ‘অমৃত ফল’ হবে। এই দেখ, একটী ফল লুকিয়ে