পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ধনপতি সওদাগর
৯৩

ক্ষেতের গম খেয়ে ক্ষুধা দূর করে। তখনকার গম অতি সুস্বাদু ছিল ও সহজেই ভিতরের শাঁস চিবিয়ে খাওয়া যেতো। গিন্নি সহ্য হলো না। তিনি শাপ দিলেন, আজ হ’তে গমের ছাল পুরু হোক, ঢেঁকিতে পার দিয়ে ময়দা না ক’রে কেউ খেতে পারবে না। অভিশাপ সফল হলো। সতীত্বের অভিসম্পাত শকুনের শাপ নয়।

 তার পর দিন, দুই ভাই ভগিনী ক্ষুধা তৃষ্ণা নিবারণের আর উপায় না দেখে অস্থির হয়ে বনে বনে বেড়াতে লাগলো। তাদের ছাগমেষ হারিয়ে গেল, সন্ধ্যা হলো, তবু খুঁজে পাওয়া গেল না। ছোট বোন বল্লে, দাদা,, কি সাহসে আর বাড়ী গিয়ে মুখ দেখাবে? ওই দুরে গৃহস্থদের বাড়ীতে আলো দেখা যাচ্ছে, চল তাদের আশ্রয়ে রাত্রি কাটিয়ে তারপর যদি সারাদিন খুঁজে ছাগলভেড়া পাওয়া যায় তবেই কাল এক সময়ে বাড়ী যাব।

 সেদিন অগ্রহায়ণ মাসের রবিবার। গৃহস্থদের মেয়েরা ছোট ছোট ছেলেপুলে সঙ্গে ক’রে নাটাই ব্রত কোরছিলেন। ব্রতের উলুধ্বনি ও আলো লক্ষ্য ক’রে দুই ভাই বোন্ তাঁদের বাড়ীর পাশে এসে দাঁড়ালো। বাড়ীর ভিতর যেতে লজ্জা বোধ হলো। এদিকে গৃহস্থ বাড়ীর মেয়েরা আশ্চর্য্য হয়ে দেখলেন তাঁদের ব্রতর চার “ভাগ” কচু ও তুলসী পাতা ছয় ‘ভাগ’ হয়েছে। চার ‘ভাগ’ চাপাটি ছয় ভাগ হয়ে গেছে। তাঁরা বলাবলি করছে লাগলেন, আমাদের বাড়ীতে চা’ট্টি ছেলে মেয়ে বই তো নয়, আর দুটী কোখেকে এলো? তখনি খোঁজ ক’রে জানা গেল ধনপতি সওদাগরের দুটী ছেলে মেয়ে বাড়ীর পেছনে দাঁড়িয়ে