রণ্য হলো। নাটাই ঠাকরুণের কৃপায় হারাণো জিনিস পাওয়া যায়; আবার ছেলেকে কেটে ফেল্লেও জীয়ন্ত ফিরে আসে, —শুনে সকলের ভক্তি উথলে উঠলাে। নাটাই ঠাক্রুণের জর জয়-কারে চা’দ্দিকে ছেয়ে গেল।
এ ব্রত কল্লে কি হয়? বিয়ে হয়। আর কি হয়? ছেলে হয়। আর কি হয়? হারাণো ধন পাওয়া যায়। আর কি হয়? সব হয়।
পাটাই ব্রত।
শাস্ত্রোক্ত পাষাণ-চতুর্দশী ব্রতের রূপান্তর পাটাই ব্রত। ‘পাষাণ দুর্গা’ উপাস্য দেবতা। ইহা অগ্রহায়ণে করণীয়। কিন্তু উক্ত মাসে ব্রতসংখ্যার প্রাচুর্য্য বশতঃ ব্রাহ্মণেতর জাতীয়দের অনেকেই পৌষের শুক্লা চতুর্দ্দশীতে সায়ংকালে ব্রতের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। কেহ কেহ মধ্যাহ্নে পূজা সমাপন করেন। ব্রত না হওয়া পর্য্যন্ত উপবাসে থাকিতে হয়। “আড়াই ব্যঞ্জন” ও অন্ন রন্ধন করিয়া দুই থালায় নৈবেদ্য সাজাইতে হয়। ঝােল, তরকারী ও ভাজা এই কয়টাকে “আড়াই ব্যঞ্জন” বলে। পূজান্তে এক থালা নৈবেদ্য ধােপানীর প্রাপ্য, অন্য থালা ভুঁইমালী পাইয়া থাকে। এতদ্ব্যতীত, সঙ্গতিপন্ন গৃহে পৌষ পার্ব্বণের ন্যায় পিষ্টক ও পরমান্নের বিপুল আয়ােজন হইয়া থাকে। সুতরাং এ দিনের “আড়াই ব্যঞ্জন” প্রকৃত পক্ষে পঞ্চাশ ব্যঞ্জনের সমতুল্য।