পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হরিষ-মঙ্গলচণ্ডী.

 সর্ব্ববিধ মঙ্গলচণ্ডী ব্রতেই অর্ঘ্য বা চলিত কথায় “শেখর” আবশ্যক। আটটী অখণ্ড আতপতণ্ডুল নখ দ্বারা খুঁটিয়া লইবে। তৎসঙ্গে আট গাছি দুর্ব্বা লইয়া কলা-পাতা দ্বারা জড়াইয়া “শেখর” নির্ম্মাণ করিতে হয়। দুই অঙ্গুলি আন্দাজ পরিসর কলা-পাতা ছিঁড়িয়া লইবে। চাল কয়টী ও দুর্ব্বাগুলির বৃন্তাংশ ভিতরে রাখিয়া, পাতাটী সমবাহু ত্রিভুজের আকারে এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত উপর্য্যুপরি ভাঁজ করিবে। শেষ প্রান্ত সম্মুখের শেষ ভাঁজে গুজিয়া দিবে। দুর্ব্বা বাহিরে উর্দ্ধ কোণে লক্ষিত থাকিবে। সঙ্কটমঙ্গলচণ্ডী ব্রতে কলাপাতার পরিবর্ত্তে ক্ষুদ্র রেসম-বস্ত্র খণ্ড দ্বারা অর্ঘ্য বাঁধিতে হয়.

 যত জন ব্রত করিবেন ততটী অর্ঘ্য চাই। উহার সম্মুখে পাতার উপর সিন্দুর লেপন করিবে। পূজান্তে গৃহিণীগণ এই অর্ঘ্য বা “শেখর যত্নপূর্ব্বক তুলিয়া রাখেন। স্বামী পুত্র কন্যা প্রভৃতি স্বজনগণের বিদেশ যাত্রা কালে এই মঙ্গল “শেখর” মস্তকে স্পর্শ করিয়া “যাত্রা” করিতে হয়.

 পুরোহিত পূজা করিয়া গেলে ব্রতচারিণীগণ স্নানান্তে শুদ্ধবাস পরিধান পূর্ব্বক ভক্তি সহকারে “কথা” শ্রবণ করিবেন। তজ্জন্য একাধিক বাড়ীর মেয়েরা এক স্থানে সমবেত হইতে পারেন। সকলেই হাতে এক একটী শেখর লইয়া উপবেশন করিবেন। একজন বর্ষীয়সী রমণী কথা বলিবেন। যদি অনিবার্য কারণে (সুপ্তোত্থিত শিশুর ক্রন্দন ইত্যাদি) কাহাকেও কথা শ্রবণ শেষ না হইতেই অন্যত্র চলিয়া যাইতে হয় তবে তাহাকে প্রতিনিধিস্বরূপ ভূমিতলে একটা আঁচড় কাটিয়া রাখিয়া যাইতে হইবে। সর্ববিধ ব্রত কথা শ্রবণেরই এই নিয়ম। অন্যান্য ব্রতে