বিশেষ বিধি না থাকিলে একটী পুষ্প হাতে লইয়া কথা শ্রবণ করিতে হর। রিক্তহস্তে কথা শ্রবণ করিতে নাই.
হরি-মঙ্গলচণ্ডী ব্রত কথা.
এক ছিলেন বামুন ঠাক্রুণ, আর ছিলেন গয়লার মেয়ে। তারা দু'জনে 'সই' পাতিয়েছিলেন। ব্রাহ্মণী বৈশাখ মাসে মঙ্গলবারে হরিষমঙ্গলচণ্ডী ব্রত কোর্তেন। গয়লার মেয়ে বল্লেন, সই, এ ব্রত কল্লে কি হয়? “এ ব্রত কল্লে চিরকাল সুখে যায়।” গয়লার মেয়ে বল্লেন, তবে আমিও এ ব্রত কর্বো, ব্রতের নিয়ম ব'লে দাও। বামুন ঠাক্রুণ বল্লেন, তুমি গয়লার মেয়ে, ব্রতের নিয়ম পালন করতে পার্বে না। তোমার ব্রত ক'রে কাজ নেই। গয়লার মেয়ে বল্লেন, তা হবে না, আমি অবিশ্যি কর্বো। তারপর তিনিও বৈশাখ মাসে মঙ্গলবারে ব্রত আরম্ভ কল্লেন। দু' একবার ব্রত করতেই মা মঙ্গলচণ্ডীর কৃপায় গয়লার মেয়ের সংসার ধন জনে ভরিয়া গেল। সুখের সীমা রহিল না। হঠাৎ এত সুখ তাহার সহ্য হলো না। তিনি কঁদিবার জন্য আকুল হ'লেন। বামুন ঠাক্রুণের কাছে গিয়ে বল্লেন, সই, “সে-জনের”[১] (অর্থাৎ আমার) বড় কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে। ব্রাহ্মণী উত্তর কল্লেন, আমি তো তোমায় তখনি বলেছি এ ব্রত করে কখনও চোকের জল পড়ে না। গয়লার মেয়ে কিছুতেই বোঝ মানলেন না, সুখে যেন অস্থির হয়ে উঠলেন। তখন বামুন ঠাক্রুণ বল্লেন, তোমার যদি কাঁদতে এত
- ↑ উক্তিটী অকল্যাণ সূচক বলিয়া কথক ঠাকুরণি এস্থলে উত্তম পুরুষের সর্ব্বনাম ব্যবহার-করিডে সংকোচ বোধ করেন