পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গয়লার মেয়ে

ভ’রে কেঁদে একটু খানি সোয়াস্তি পায়। ব্রাহ্মণী বল্লেন, তোমার যদি কাঁদ‍্তে এতই সাধ হ’য়ে থাকে তবে আর এক কাজ কর। সাপের বিষ মেখে লাড়ু তয়ের ক’রে বিদেশে তোমার বড় ছেলের কাছে পাঠিয়ে দাও। গয়লার মেয়ে তাই কল্লেন। চাকর লাড়ুর হাঁড়ি মাথায় করিয়া চলিল। বৈশাখ মাস, দারণ রোদ; লোকটী এক পুকুর পাড়ে হাঁড়ি রাখিয়া স্নান করিতে নামিল। তখন মা মঙ্গল চণ্ডী মনে ভাবলেন, আমার ভক্তের দুর্ম্মতি হয়েছে, তবে যদ্দিন আমার ব্রত করবে তদ্দিন ওকে চোকের জল ফেল‍্তে দেবো না। এই ভেবে মা চণ্ডী শ্রীমুখের অমৃত দিয়ে বিষের লাড়ু অমৃতের লাড়ু করে দিলেন। চাকর হাঁড়ি তুলিয়া আবার হাঁটিতে হাটিতে গয়লার ছেলের কাছে পঁহুছিল। ছেলে লাড়ু খেয়ে বল্লে, আহা মা এমন খাবার তৈরি করতে পারেন তা’ তো আগে কোন দিনও জানতুম না। মা’কে বলিস্ তিনি আরো এমনি লাড়ু যেন পাঠিয়ে দেন। এই ব’লে চাকরকে অনেক বকশীশ কল্লেন। এদিকে বাড়ীতে গয়লার মেয়ে এলোচুলে উচুনীচু স্থানে দাঁড়িয়ে প্রস্তুত হয়ে আছেন, যেই কুসংবাদটী পাবেন আর অমনি চিৎপাত হয়ে ছেলের শোকে প্রাণ ভ’রে কাঁদবেন। এমন সময়ে চাকরটী ফিরে এসে গয়লা-গিন্নিকে অমন ব্যস্ত-সমস্ত দেখে বল্লে, মা ঠাকরুণ, তুমি এত উতলা হয়েচ কেন? বড় বাবু ভাল আছেন, আর তিনি এবার লাড়ু খেয়ে খুব সুখ্যাত করেছেন; আর আমাকেও কত বক‍্শীশ দিয়েছেন।

 গয়লার মেয়ের এবারও কান্না হলো না। তিনি ছুটে গিয়ে সইয়ের কাছে বলে, সই, কাঁদতে না পারলে “সেজন” আর