পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শ্রীমন্ত সওদাগর

অবগত আছেন। নিম্নোক্ত ব্রতকথার পাঁচালী এতদ্দেশের রমণী সমাজে অতি সমাদরে গৃহীত হইয়াছে। ইহার রচয়িতার পরিচয় অজ্ঞাত। একস্থলে ‘দ্বিজ জনার্দন’ ভণিতা আছে। অতি বৃদ্ধা নিরক্ষরা ঠাকুরাণীদের অশুদ্ধ ও অসম্পূর্ণ আবৃত্তি অনুকরণ করিয়া পরবর্ত্তী প্রৌঢ়া বধুগণ স্মৃতি হইতে অনেকাংশ বর্জ্জন করিয়াছেন। অতঃপর নব্যাগণের পয়ার মিলের চেষ্টায় কোন কোন স্থল বিশেষ পরিবর্ত্তিত বা অর্থহীন হইয়াছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ প্রথম দুই ছত্র অবিকল রক্ষিত হইল। কতিপয় বর্ষয়সী মহিলা হইতে পাঁচালী সংগ্রহ করিয়া যথাসব ঐক্য রক্ষা পূর্ব্বক উহা নিম্নে প্রকাশ করা গেল।

জয়-মঙ্গলচণ্ডীর ব্রত কথা

নমো আদি দেব নারায়ণ বন্দি সঙ্কট চরণ।
বন্দিয়া মঙ্গলচণ্ডী করি শুভক্ষণ॥
মঙ্গল চণ্ডিকার পদে কোটী নমস্কার।
মহামায়া রূপে দেবী মোহিলা সংসার॥
সর্ব্বাঙ্গ সুন্দর দেবী গৌরবর্ণ ধলা।
রক্তবস্ত্র পরিধান সুবর্ণের মালা॥
স্থানে স্থানে শোভা করে দিব্য অলঙ্কার।
গলে তার শোভা করে গজমতি হার॥
দুই হস্তে শোভা করে সোণার কেয়ুর।
দু’চরণে শোভ করে সোণর নুপুর॥
অভয়া বরদ-হস্তা দেবী মহামায়া।
অনুগত জন প্রতি সদা তাঁর দয়া॥