পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
জয়-মঙ্গলচণ্ডী

চারি বর্ষ চারি মাস বয়স হইল।
শুভক্ষণে হাতে খড়ি শ্রীমন্তকে দিল॥
পাঠশালে যায় নিত্য সাধুর নন্দন।
অক্ষর বানান ফল করে সমাপন॥
একদিন পাঠশালে শ্রীমন্ত কুমার।
কঞ্চির কলম খসি পড়িল তাহার॥
শ্রীমন্ত বলেন সব পড়ুয়ার স্থান।
আমাকে তুলিয়া দাও অই কঞ্চি খান॥
হাসিয়া সকলে বলে দুরক্ষর বাণী।
জারজ কুমার তুমি কে দিবে লেখনী॥
কুবচনে অপমান অন্তরে পাইয়া।
আপন ঘরেতে আসি রহিল শুইয়া॥
মাতা ও বিমাতা এসে জিজ্ঞাসে তখন।
কেন গাে শুয়েছ পুত্র না ক’রে ভােজন॥
প্রভাতে রেঁধেছি অন্ন খাওনা আসিয়া।
বড়ই অস্থির মােরা তােমার লাগিয়॥
শ্রীমন্ত বলেন তবে জননীর স্থানে।
কাহার তনয় আমি কহ শুদ্ধ মনে॥
খুল্লনা করেন তবে সদর্পে উত্তর।
তব পিতা ধনপতি সাধু সদাগর॥
এতেক বলিয়া তবে সেই সাধ্বী সতী।
সাধুর হাতের পত্র দেন শীঘ্রগতি॥
পত্র পাঠে শ্রীমন্তের হরষিত মন।
মাতার চরণ পুত্র করেন বন্দন॥