পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩

সঙ্কট মঙ্গলচণ্ডী ব্রত।

 এই ব্রত অগ্রহায়ণ মাসে যে কোন মঙ্গলবারে একবার কর্ত্তব্য। অগ্রহায়ণে নানাবিধ বার-ব্রত। এজন্য অগ্রহায়ণে করতে না পারিলে মাঘ মাসেও করা যাইতে পারে। ইহা কেবল সধবাদেরই কর্ত্তব্য।

 “শেখর” বা অর্ঘ্য নির্ম্মণের বিশেষত্ব পূর্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। কলা-পাতার পরিবর্ত্তে ক্ষুদ্র রেশম বস্ত্র খণ্ড দ্বারা আতপ তণ্ড‌ুল ও দুর্ব্বা বাঁধিতে হয়। এই ব্রত একজন, দুইজন অথবা চারি জন সধবা রমণী একত্র করিতে পারেন। তিনজনে করিবে না।

 পূজান্তে ব্রত-চারিণী স্বয়ং রন্ধন করিয়া আহার করিবেন। রন্ধন সময়ে উপবেশন প্রণালী একটু কষ্টকর। দক্ষিণ জানুর নিম্নে দক্ষিণ হস্ত বাড়াইয়া সমস্ত কার্য সম্পন্ন করিতে হয়। ইহার নাম সঙ্কটাবস্থা। যতজন ব্রত করিবেন ততবার স্বতন্ত্রভাবে অন্ন পাক করিতে হইবে। ব্যঞ্জনাদি একত্র হইলে দোষ নাই। এক জনেই সকলের রান্না করিতে পারেন, অপর ব্রতচারিণীগণ সঙ্কটাবস্থায় উপবিষ্ট হইয়া বাটন বাটা কুটনো কাটা প্রভৃতি রন্ধনের সহায়তা করিবেন। এই প্রকারে রন্ধন, ভোজন, আচমন ও তাম্বুল সেবনের পর একজন অপরকে বলিবেন, “সঙ্কটে পার হই?” তিনি উত্তর দিবেন, “হও”। এইরূপে তিনবার অনুমতি প্রার্থনাসূচক প্রশ্ন ও অনুকুল উত্তর হইলে সঙ্কটাবস্থা পরিত্যাগ করিয়া গাত্রোখান করিবেন। এই প্রকারে একে একে সকলেই সঙ্কট-মুক্ত হইবেন। ব্রতের কথা রন্ধনের