পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শঙ্খনাথ
২৫

সকালে খেতে বসেছিস্। ঝাড়ুদার উত্তর কল্লে, গোলামের বেয়াদবি মাফ করেন তো বলি। আমায় অনেক কাচ্চা বাচ্চা নিয়ে ঘর কত্তে হয়, সকালে ওই আঁটকুড়ে অনামুখো রাজার মুখ দেখে আমাদের একদিনও খাওয়াটা ভাল হয় না। তাই আজ মনে করনু, আগে খেয়ে তার পর রাজবাড়ী যাব। মেতরের মুখে এই কথা শুনে কোটাল অবাক্ হয়ে গেল। ফিরে এসে রাজাকে বল্লে, মহারাজ ভয়ে বলবো, কি নির্ভয়ে বলবো? রাজা বল্লেন, ভয় আবার কেন, নির্ভয়ে বল। কোটাল মেতরের আস্পর্দ্ধার কথা রাজাকে সব জানালে। শুনে, রাজার মুখ এতটুকু হয়ে গেল। তিনি মনের দুঃখে ভাবলেন, যা, আর এ এ মুখ কাকেও দেখাব না। সামান্য মেতরও আমায় ঘেন্না করে! রাজা কা’কেও কিছু না বলে, একেবারে অন্দরে গিয়ে দরজা বন্ধ ক'রে লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে রইলেন। এমন সময়ে আজ সভায় এক সন্ন্যাসী ঠাকুর উপস্থিত। সন্ন্যাসী উজীর নাজীরকে বল্লেন, এখনি রাজাকে আমার আগমন সংবাদ দাও। তারা সকলে ভাবলে, এখন উপায়! সাধু সন্ন্যাসীর কথা অবহেলা করা অকল্যাণ, অথচ রাজাকে খবর দেওয়া কারু সাধ্যি নয়। অবশেষে সন্ন্যাসী এসেছেন শুনে রাণীরা অনেক সাধ্যিসাধনা করে রাজাকে বাইরে পাঠিয়ে দিলেন। সন্ন্যাসী বল্লেন, 'ওহে রাজা, আমি সব জান‍্তে পেরেছি, তোমার আর চিন্তা নেই। তুমি এক কাজ কর। এই শিকড়টী তোমায় দিলুম, মধু আর পানের রস দিয়ে রাণীদের খাইয়ে দাও; তবেই তাঁদের ছেলে হবে। কিন্তু তুমি এই সত্য কর, আমার পছন্দ মত একটী ছেলে আমাকে দান কর্ব্বে। রাজা সম্মত হ'লেন। মনে

C