পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শঙ্খনাথ
২৭

বাহ্য-প্রস্রাবে নোংরা হইত। একদিন রেতে তিনি ঘুমের ভান করে শুয়ে আছেন, হঠাৎ দেখতে পেলেন শাঁকের ভেতর থেকে এক পরম সুন্দর বালক বের হয়ে খেলা কচ্চে। যেই দেখা আর অমনি তিনি তার হাত ধরে ফেলে বল্লেন, সোণারচাঁদ ছেলে আমার! তোমার মতন ছেলে যার, তার এই দুর্দ্দশা! আর তোমায় আমি ছাড়বো না। এই ব’লে তিনি, বালক শাঁকের ভেতর আর না লুকোয় এইজন্যে, শাঁকটী ছুড়ে ফেলে দিলেন। ছেলে বল্লে, মা! তুমি কি করলে, আজই সেই সন্ন্যেসীর মাথায় টনক পড়বে, আমাকে এসে নে যাবে। অমন সুন্দর ছেলের মুখে মধুর ‘মা’ ডাক শুনে ছোট রাণী আনন্দে আত্মহারা হলেন। তিনি ভাবলেন, আগেতো রাজাকে তাঁর ছেলে দেখাইগে, তার পরে অদেষ্টে যা থাকে হবে। মা মঙ্গলচণ্ডীর তার নাম স্মরণ ক’রে খুব ভোরে উঠে, ছোট রাণী ছেলে নিয়ে রাজার কোলে দিলেন। রাজা দেখলেন, ছেলেতো নয়, যেন কার্ত্তিক। তিনি আনন্দে অধীর হ’য়ে বলেন, এই ছেলেই রাজপুত্র হ’বার যুগ্যি। এমনি সময়ে দো’রে সেই সন্ন্যাসী ঠাকুর উপস্থিত। সন্ন্যাসীকে দেখে রাজার প্রাণ যেন উড়ে গেল। তাঁর মনে যেন অন্ধকমুনির শাপ জেগে উঠলো। তিনি ছোট রাণীর ছেলেকে একটুখানি আড়ালে রেখে আর ছ’ছেলেকে সম্মুখে দাঁড় করালেন। সন্ন্যাসী সামনে যাকে দেখলেন সেই ছেলেকে নিয়ে তখুনি বিদায় হলেন। কিছুদুর গিয়ে সন্ন্যাসী ছেলেকে জিজ্ঞাসা কল্লেন, তুমি সোজা পথে যাবে, কি বাঁকা পথে যাবে? বাঁকা পথে জঙ্গল ও বাঘ ভালুকের ভয়। ছেলেটা বল্লে, আমি রাজার বেটা রাজা, আমি কেন মিছিমিছি বাঘ