পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
সঙ্কট মঙ্গলচণ্ডী

দেবীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম কর। শঙ্খনাথ মা কাত্যায়ণীকে মনে মনে প্রণাম ক’রে মুখে বল্লেন, আমি রাজপুত্র, প্রণাম পেয়েছি ছাড়া প্রণাম কেমন করিয়া করিতে হয় তাহা জানি না। তুমি আগে প্রণাম ক’রে দেখিয়ে দাও। আমি তাই দেখে শেষে প্রণাম করবো। সন্ন্যাসী হাতের খাঁড়া মাটীতে রেখে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলেন। আর অমনি দেবীর ইঙ্গিতে, রাজপুত্র খাঁড়া হাতে ক’রে সন্ন্যাসীকে এক কোপে কেটে ফেল্লেন। সন্ন্যাসীর রক্ত হ’তে আবার নূতন সন্ন্যাসী জন্মাতে লাগলো। একজন কাটেন তত দশজন হয়। কিছুতেই সন্ন্যাসীর ক্ষয় হয় না। তখন দেবীর আদেশ হইল, “ডাইনে কেটে বাঁয়ে (খাঁড়া) মোছ, বাঁয়ে কেটে ডাইনে মোছ।” শঙ্খনাথ তাই কল্লেন। তখন সব রক্তবীজ সন্ন্যাসী নিপাত হলো। শঙ্খনাথ পূজার ফুলজল রক্ত পুকুরে কাটা মুণ্ডের উপর ছড়িয়ে দিলেন; তখন তারা সকলে বেঁচে উঠলো, আর রাজপুত্রকে ধন্য ধন্য কত্তে লাগলো। তিনি মা চণ্ডীকে প্রণাম ক’রে স্বদেশ যাত্রা কল্লেন। শঙ্খনাথের নাম দেশময় ছড়িয়ে গেল। পথে এক রাজা তাঁর কন্যার সঙ্গে শঙ্খনাথের বিয়ে দিয়ে অর্দ্ধেক রাজত্ব দান কল্লেন।

 রাজপুত্তর বৌ নিয়ে বাজি বাজনা করে বাড়ী চল্লেন। সে দিন অঘ্রাণ মাস মঙ্গলবার, ছোট রাণী সঙ্কট মঙ্গলচণ্ডীর ব্রত ক’রছিলেন। পাড়ার পাঁচ মেয়ে ছুটে এসে বল্লে, ওঠ মা, তোর ছেলে রাজকন্যে বিয়ে ক’রে বাড়ী আসচে। ঘোট রাণী বল্লেন, ছেলেকে বাইরে খানিক অপেক্ষা কত্তে বল। আমি এখন উঠতে পারবে না। তার পর, ব্রত সমাপন করিয়া ‘সঙ্কট’ [২৩ পৃষ্ঠায় উপবেশন প্রণালী দেখ] হ’তে উঠে, তবে ছেলে