পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
বুড়া ঠাকুরাণী

গিয়ে মেয়েটী বল্লে, মা’কে না দেখে থাকতে পারবো কেন, আমি মর্ত্ত্যেই থাকবো মহাদেব ছোট মেয়েটীকে আদর করে “বুড়ী” বলে ডাকতেন। বুড়ীর কথায় তিনি বল্লেন, আচ্ছা তাই হোক। এই ব’লে এক বনে গিয়ে এক সেওড়াগাছ তলায় তাকে রেখে দিলেন। বল্লেন, বুড়ী তুমি এখানেই থাক। তুমি পৃথিবীতে বনদেবী ব’লে পূজো পাবে। তোমার ব্রত না করলে অন্য ব্রত করা নিষ্ফল হবে।

 মহাদেব ভাবলেন, পার্ব্বতী কার্ত্তিক গণেশকে ফেলে আমি একা এখন কৈলাসে যাই কি ক’রে। কিছুদিন মর্ত্ত্যেই থাকবো। বুড়ী তো মর্ত্ত্যের বনদেবী হ’লেন। তাকেও মাঝে মাঝে দেখা উচিত। এই ভেবে তিনি নিকটেই ছদ্মবেশে এক মুদীর দোকান ক’রে রইলেন।

 সেই পথে একদিন একটী দুঃখী মেয়ে বাজারে চূণ বিক্রী কত্তে যাচ্ছিল। তার মাথায় এক চূণের মালশা। বনদেবী “বুড়া ঠাকুরাণী” তাকে ডাকলেন। সে চূণের মালশা নামিয়ে আশ্চর্য্য হয়ে দেখে, চূণতো নয়, সব দই! বনদেবী বল্লেন, আমার বড় খিদে পেরেছে, তোমায় এই কড়িটী দিচ্ছি, তুমি দই রেখে মুদী দোকান থেকে চিড়ে, মুড়ি, চিনি, দুধ, মেঠাই এনে দাও। সে ভাবতে লাগলো একটা কড়িতে বেশী কি পাব। কিন্তু মুদীর দোকানে কড়িটি দিতেই “মুদী” কত জিনিষ দিলেন, তা ব’লে শেষ করা যায় না। মেয়ে-মানুষটি লোকজন নিয়ে একে একে সব জিনিষ বনদেবীর কাছে বয়ে দিয়ে এলো। বনদেবী সামান্য একটু খেয়ে সব জিনিষ মেয়ে মানুষটিকে দিলেন। আর তাকে এক মালশা সোণা দিলেন। তখন