পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শঙ্কর শাঁখারি
৬৫

সেই বনে লােকে লােকারণ্য হলো। বনদেবী আদেশ দিলেন, আমি মহাদেবের কন্যা; অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষে শনিবারে আমার পূজা করিলে অপুত্রের পুত্র হয়, নির্ধনের ধন হয়, ছেলে মেয়ের ব্যারাম পীড়া হয় না, সকলে সুখে থাকে, আর হরপার্ব্বতী তুষ্ট হন।

প্রণাম।  বনদুর্গা বনস্থাচ বনমালা বিভূষিতা।
শঙ্করস্য প্রিয়পুত্রী বনদেবি নমােস্তুতে।


ইতু-রা’ল ব্রত।

 অগ্রহায়ণ মাসে “ক্ষেত্র” ও “বুড়াঠাকুরাণী” ব্রতের পরদিন (রবিবার) এই ব্রত করিতে হয়। এক বাড়ীতে দু’চার জন মহিলা একত্র হইয়া ইতু-রা’ল ব্রত করিবে; একা করিবে না। প্রত্যেক ব্রতচারিণী বিয়াল্লিশটা আতপ-তণ্ডুল নখ দ্বারা খুঁটিয়া লইবেন। পাঁচ মেয়ে একত্র হয়েছেন, এবং এতগুলি তণ্ডুল খুঁটিয়া লওয়া কিঞ্চিৎ সময় সাধ্য, ব্রতের উপাখ্যানও বড়। এজন্য তাঁহারা এই সময়েই নিম্নোক্ত ব্রত কথা শ্রবণ করেন। পূজান্তে এত কথা স্মরণ করিয়া ভূতলে একটা আঁচড় কাটিলেই পুনরায় কথা শ্রবণ আবশ্যক হয় না।

 মঙ্গলচণ্ডীর শেখর বা অর্ঘ্যের ন্যায় এ ব্রতেও অর্ঘ্য নির্ম্মাণ করিতে হয়। কিন্তু কলাপাতার পরিবর্ত্তে পিটুলির এক ডেলা প্রস্তুত করিয়া তাহার ভিতর আতপ তণ্ডুল ও দুর্ব্বা স্থাপন করিবে। প্রতি ব্রতিনীর জন্য এইরূপ দুইটী পিটুলি-পিণ্ডের অর্ঘ্য আবশ্যক।