পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
ইতু-রা’ল

প্রতি অর্ঘ্যে একুশগাছি দুর্ব্বা স্থাপন করিতে হয়। একটী অর্ঘ্যের নাম দুয়ােরাজ, অন্যটী সুয়ােরাজ। একটীর ভিতর পূর্বোক্ত বিয়াল্লিশটা আতপ-চা’লের অর্দ্ধেক (একুশ) দিতে হইবে, অপরটিতে একুশটি ধান দিবে। অবশিষ্ট একুশটি আতপ চা’ল আলাহিদা রাখিয়া দিবে। তার পর পূজা হইয়া গেলে পিটুলি দ্বারা একুশটী পুলি (বা “দইলা”) প্রস্তুত করিবে। উহার কুড়িটী ছােট এবং একটী বড় বর্ত্তুলাকার। এই বড়টীর ভিতর পূর্ব্বোক্ত অবশিষ্ট একুশটী আলাে চা’ল দিবে। পূজান্তে রন্ধনের সময় এইগুলি ভাতের সঙ্গে সিদ্ধ করিবে। পুরােহিত পূর্ব্বাহ্নে সূর্য্যের পূজা করিবেন। পূজান্তে ব্রতচারিণীগণ উল্লিখিত একুশটী পুলি ভক্ষণ ও ডাল সিদ্ধ ভাতেভাত আহার করিবেন। কথা শ্রবণের পর প্রণাম যথা;

জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম্।
ধ্বান্তারিং সর্ব্বপাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরং।

ইতু-রা’ল ব্রত কথা।

 এক গরীব ব্রাহ্মণ। তাঁর গৃহ শূন্য। দু’টী পরমা সুন্দরী অবিবাহিতা ছােট কন্যা ছাড়া সংসারে তাঁর আর কেউ নাই। সারাদিন ভিক্ষা করে যা পান তাতেই অতিকষ্টে দিন চলে।

 একদিন মেয়েরা ভিক্ষার ধান কয়টী রােদে শুকুতে দিয়ে খেলা কচ্ছিল; কতগুলি পায়রা উড়ে এসে সব ধান খেয়ে ফেলে। মেয়ে দু’টি কাঁদতে লাগলাে। তারা মনে কল্লে, বাবা সারাদিন পরে বাড়ী এলে, তাঁকে কি রেঁধে খাওয়াব, আর আমরাই বা কি খাব। রাগে ও দুঃখে তারা তেড়ে গিয়ে একটা