পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই ভগিনী
৬৯

শেষ রাত্রের স্বপ্ন দেখে ব্রাহ্মণের আর ঘুম হলো না। ব্রাহ্মমূহুর্তে উঠে দুর্গানাম স্মরণ ক’রে ভিক্ষার ঝুলিটা হাতে লয়ে ব্রাহ্মণ তাড়াতাড়ি রাজবাড়ী ছুটে গেলেন এবং পশ্চিম মুখো হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। রাজা শষ্যা ত্যাগ ক’রে সূর্য্য প্রণাম করেই সর্ব্বাগ্রে ব্রাহ্মণকে দেখতে পেলেন। তিনি পরম তুষ্ট হয়ে তাঁকে শুভক্ষণে রাজকন্যা সম্প্রদান কল্লেন।

 মা পেয়ে অমুনা ও যমুনার আনন্দের সীমা নাই। কিছু কাল পরে যখন তাদের একটী ভাই হলো তখন দু’ বোন্ কিরূপ সুখী হলো তা বলবার নয়। ভাইটীকে কোলে ক’রে তারা সদাই বাড়ীর ভিতর হেসে খেলে বেড়ায়। কিন্তু নূতন ব্রাহ্মণীর চোখে মেয়ে দুটীর এতটা নির্ভাবনা ও স্ফূর্ত্তি ভাল লাগিল না। তিনি দেখলেন বাড়ীর লোকজন ওদের ইঙ্গিতেই যেন চলা ফেরা করে। ভাবলেন, এত বাড়াবাড়ি কেন? ওদের যদি তাড়িয়ে না দিতে পারি তবে আমি রাজার মেয়েই নই।

 একদিন দুই বোন্ ইতু-রা’ল ব্রতের উদ্যোগ ক’রে মাকে বলে, মা ভাইটীকে কোলে নাও, আমাদের ব্রতের জিনিষ ফেলে দিচ্ছে। যেই এই বলা, আর অমনি ব্রাহ্মণী হঠাৎ রেগে ছেলের গায় ঠাস্ করে এক চড় দিয়ে বল্লে, হতভাগা ছেলে! কেন ওদের কাছে যাস্। ছেলেটা ট্যাঁ ট্যাঁ করে কাঁদতে লাগলো। ব্রাহ্মণী রাগে গর্ গর্ করে ছেলেটাকে কোলে তুলে নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদের বাড়ী গিয়ে শুয়ে রইলেন। বামুন ঠাকুর তখন বাড়ী ছিলেন না। বাড়ী এসে তিনি ব্রাহ্মণীকে সেধে আনতে গেলেন। অনেক সাধ্যি সাধনার পর ব্রাহ্মণী বল্লে, আমি তেমন মানুষের মেয়ে নই, অপমান হতে তোমার ঘর