পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
ইতু-রা’ল

লেন। যমুনা রাজার দুর্মতির কথা শুনে কাঁদতে লাগলেন। অমুনাকে তিনি গােপনে নিজ বাড়ীতে রাখলেন। অমুনা যমুনাকে বল্লেন, বােন্ আমি যে এখানে রইলুম তা কেউ রাজার কাণে না তােলে। মন্ত্রী মশাইকে ব’লে কাজ নেই। যমুনা বল্লেন, দিদি মন্ত্রীর মন্ত্র আমার হাতে, তােমার কোন ভয় নাই। তুমি নিশ্চিন্ত থাক।

 এদিকে, কিছুদিন পর রাজার চৈতন্য হলাে। তিনি রাণীর জন্য ব্যাকুল হলেন। অনুতাপ করে মন্ত্রীকে বলেন, আমি বিনা দোষে রাণীকে ও ছেলেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। যত টাকা লাগে দেব, তুমি লোকজন পাঠিয়ে তাঁদের খুঁজে নিয়ে এসো। রাণীকে না দেখে আমার প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে।

 মন্ত্রী মহা বিপদে পড়লেন। সব লােক ফিরে এলাে, কেউ রাণীর খোঁজ পেলে না। রাণীকে পাওয়া গেল না বল্লে চাক্‌রি তাে থাকবেই না, আরও কি হয়, এই ভেবে তিনি মনের দুঃখে লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে রইলেন। যমুনা এসে বল্লেন, তুমি এত ভাবচো কেন, আমি থাকতে তােমার চাকরি যাবার ভয় নাই। রাজা রাণীর জন্যে এত উতলা হয়েছেন তা শুনে আমি সুখী হলেম। রাণীর সঙ্গে যাই হােক আমার একটা রক্তের টান। আছে, এজন্যে আমি নিজেই লােক পাঠিয়ে তাঁকে খুঁজে নিয়ে এসেছি। তুমি যাও রাজাকে সংবাদ দাওগে, আমি রাণীকে পাল্কী ক’রে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

 যমুনা রাণীকে ও তাঁর ছেলেকে সাজগােজ করিয়ে অনেক ধন রত্ন সঙ্গে দিয়ে রাজবাড়ীতে পাঠিয়ে দিলেন। ঐসব ধন রত্ন রাজভাণ্ডারে না যাইতেই ইতু-রা’ল ঠাকুরের কোপে অদৃশ্য