পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৶৹

 আশাকরি গ্রন্থকারের সংগ্রহ অধ্যবসায় পাঠকদিগের নিকট হইতে সমাদর লাভ করিয়া স্বদেশের অন্তঃপুরে নূতন নূতন সন্ধান ও আবিষ্কারে সার্থক হউক।”

 শিক্ষা ও সংসর্গ দোষে পল্লীগ্রামের ব্রতাচরণ ক্রমশঃ বিলুপ্ত হইবার সম্ভাবনা হইয়াছে। দোল দুর্গোৎসব প্রভৃতি ব্যয়সাধ্য ব্যাপার প্রতিগৃহে অনুষ্ঠিত হয় না। পারিবারিক ক্রিয়াকাণ্ড প্রতিনিয়ত সঙ্ঘটিত হয় না। অপিচ, সঙ্গতিপন্ন ব্যক্তিগণ সহরে বাস করেন এবং সহরেই তাঁহাদের বিবাহোৎসব সম্পন্ন হয়। এমত অবস্থায় বারব্রত ও পার্ব্বণাদি বিদূরিত হইলে পল্লীগ্রামের বালক বালিকাদের জীবন নীরস ও নিরানন্দময় হইয়া উঠিবে। বারব্রত বর্জ্জন করিলে হিন্দুগৃহে একাদশীর নিরম্বু উপবাস ব্যতীত আর কি ধর্ম্মানুষ্ঠান রহিয়া যাইবে তাহাও ভাবিবার বিষয়।

 ব্রতনিয়ম ও উপবাস অবলম্বনে হিন্দু রমণীগণ শৈশব হইতেই গুরুভক্তি, ধর্ম্মে বিশ্বাস, গৃহধর্ম্মে আস্থা ও ইন্দ্রিয় সংযম প্রভৃতি সৎগুণ শিক্ষা ও অভ্যাস করিয়া থাকেন। অধুনা ইউরোপে যেরূপ কিণ্ডার-গার্টেন প্রণালী দ্বারা বিদ্যাশিক্ষাদানের প্রথা প্রবর্ত্তিত হইয়াছে, আমাদের দেশে সেইরূপ কৌশলে বালিকাগণ স্মরণাতীত কাল হইতেই “বারব্রত” পদ্ধতিক্রমে ধর্ম্মনীতি শিক্ষা-