পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
ইতু-রা’ল

হুকুম, তা অমান্য করা তোমার উচিত হয় না। রাজার আদেশ ভাল কি মন্দ সে বিচার উপরওয়ালা ভগবান করবেন, সে ভার আমাদের নয়। তুমি হুকুম মত ওদের রাজবাড়ী থেকে গোপনে নিয়ে এসো। মন্ত্রী তাই করলেন। যমুনা ভাবলেন, রাজারাজড়ার মেজাজ, একবার বোল্‌চে তাড়িয়ে দাও, আবার বোল্‌চে এনে দাও। আজ বোল্‌চে কেটে ফেল, আবার কাল কোন্ না বল্‌বে বাঁচিয়ে এনে দাও। রাজার দুর্মতি হয়েছে, দিদিও ব্রত ভুলে গেছে। যাই হোক, আমি এর প্রতীকার কচ্ছি। তার পর তিনি কতগুলি মশলা লালরঙ্গে গুলে মন্ত্রীর কাছে গিয়ে বল্লেন, আমি কাজটা সেরে ফেলেছি। রাজার আদেশ, কি করা যায়। ছেলে বেলা কার বোন্ বই তো নয়, তা এমন বেশী কি। বিয়ে হয়ে গেলে পর আর সম্পর্ক কি। আমরা ভাল মন্দ বুঝি না, আমাদের অন্ন বজায় থাকলেই হলো, কি বল? আমি তোক দিয়ে খুব গোপনে ওদের কেটে ফেলে এই রক্ত এনেছি; যাও রাজাকে দেখাওগে। রক্ত না দেখলে তাঁর প্রত্যয় হবে না। মন্ত্রী তাই করলেন! যমুনা, রাণী ও তাঁর ছেলেকে লুকিয়ে ঘরে রাখলেন।

 একদিন যমুনা বোলচেন, দিদি ব্রতটা ভুলে গিয়েই তোমার এই দশা। আমার কথা রাখ, তোমার ব্রত করতেই হবে। তা শুনে অমুনা বোলচেন, বোন, কি সুখ কামনা ক’রে আমি ব্রত করব? সোয়ামীর চেয়ে বড় দেবতা মেয়ে মানুষের আর পৃথিবীতে নাই। সেই সোয়ামী যদি ব্রত না করলেই সুখী হন, তবে তার মনে কষ্ট দিয়ে আমার লাভ কি। তাঁর অনুমতি না পেলে আমি কি করে ব্রত করবো। আর আমি