পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই ভগিনী
৭৭

এখনও বেঁচে আছি তা শুনেই বা তিনি কি মনে করবেন? কেবল এই শিশুটীর মুখ দেখে আমার এখনো মরতে ইচ্ছা হচ্ছে না। এই বলে রাণী অমুনা চো’কে আঁচল দিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

 এইরূপে কিছুদিন চলে গেল। পাছে ব্রত করতে হয় এই ভয়ে অমুনা উপােস থাকতেন না। রােজ সকালে উঠে কিছু না খেয়ে বােনের সঙ্গে দেখা করতেন না।

 যমুনা ভাবলেন, দিদি যাই বলুন, ইতু-রা’ল ঠাকুরের কৃপা না হ’লে তাঁর উদ্ধার নাই। আস্‌ছে কাল রবিবার, এঁকে জোর করে উপােস রেখে সকাল সকাল ব্রত করাতে হবে। মনে একটা মৎলব এটে তিনি সে দিন রাত্তিরে মন্ত্রীর বিছানা বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে ভগিনীর সঙ্গে এক শয্যায় শয়ন করলেন। অমুনা ঘুমিয়ে পড়লে তাঁর আঁচলে নিজের আঁচল বেঁধে, হাতে হাত রেখে শুয়ে রইলেন, যেন রাণী সকালে উঠে কিছু মুখে দিতে না পারেন।

 এদিকে মন্ত্রী মহাশয়ের চো’কে ঘুম নাই। তিনি মনে করলেন, গিন্নির বুদ্ধি বেশী বয়সও কাঁচা, ভাবনার কথা বটে। আমার চো’কে কি ধুলো দিচ্ছে, ভগবান জানেন। কিছু না বােলে কোয়ে আজ হঠাৎ আমাকে বাইরে রাখলে কেন? রাজা কি দোষে ছেলে-শুদ্ধ সুন্দরী স্ত্রীকে ত্যাগ করলেন তা ঠিক জানি না, এ তাে তারি সহােদরা! সারা রাত মন্ত্রীর ঘুম হলাে না, মনে দারুণ সন্দেহ জন্মালো। খুব ভোরে উঠে তিনি অন্দরে গিন্নির ঘরে ঢুকে যা দেখলেন তাতে তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। হাতে নাতে ধরে ফেলেছি! কোন্ পর