কুলকামিনীগণ এই ব্রতের দিবস অন্নাহার না করিয়া খই, চিড়া, দই, ছাতু ইত্যাদি ভোজন করিয়া থাকেন।
ধ্যান। ওঁ কুলদেবং মহাভাগং শত্রুঘ্নন্তু বরপ্রদং।
শার্দ্দূল বাহনং দেবং নানালঙ্কার ভূষিতং।
কুলই ব্রত কথা।
এক বিধবা ব্রাহ্মণী। তিনি বড়ই “শুদ্ধাচারিণী”। নিষ্ঠা ও শুদ্ধাচারের বাড়াবাড়িতে তিনি শুচিবাইগ্রস্তা হয়ে পড়লেন। ময়লা কাপড় পরতেন, আর যেমন তেমন পুকুর বা ডোবার ময়লা জলে একটা ডুব দিলেই শুদ্ধ হলেন মনে করতেন। বাড়ীর ছোট ছোট শিশুরা খেলতে খেলতে কাছে এলে তাদের ছোঁবার ভয়ে চমকে উঠে দশ হাত দূরে সরে যেতেন। কোথাও কিছু নাই, তবু তিনি ভাবতেন সব ‘সগড়ী’ হয়ে গেল! এজন্য দিনে সাতবার স্নান করতেন। কোন জিনিষ একবার ধুয়ে শুদ্ধ মনে হতো না। রোজ ঝাঁট দিবার আগে কাঠিগুলি খুলে, গোবর মেখে, ধুয়ে, আবার বেঁধে তবে ঝাঁট দিতেন।
তিনি আর কা’কেও গৃহ দেবতার সেবা করতে দিতেন না; অথচ, তিনি নিজে মুখে আঁচল বেঁধে, নৈবেদ্য রচনা ও পূজার আয়োজন করতে গেলে, যে পূজা সকালে হবার কথা, তা সন্ধ্যার আগে কিছুতেই হতো না। আর এক কথা। তিনি রাঁধবার আগে কাঠগুলি জলে ধুয়ে নিতেন। ভিজে কাঠ, এজন্যে কিছুতেই সন্ধ্যার আগে দেবতার ভোগ হতো না। পচা গোররের দুর্গন্ধে ঠাকুরের ঘরে তিষ্ঠানো ভার। দেবতারা আর কত সহ্য় করিবেন। তাঁরা এই সব কারণে বড় কুপিত হলেন,