পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৫

নাটাই ব্রত।

 অবিবাহিত বালকবালিকার বিশেষতঃ অনুঢ়া কন্যার শুভ বিবাহ কামনা করিয়া কুলবতীগণ অগ্রহায়ণ মাসের প্রতি রবিবারে সায়াহ্নে এই ব্রতের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। অনুঢ়া কন্যার সংখ্যা বেশী না হইলে, কিম্বা গৃহে “অরক্ষণীয়া” কন্যা না থাকিলে দুই এক রবিবারে ব্রত না করিলেও চলে। বলাবাহুল্য, ঘরে অবিবাহিতা বালিকা না থাকিলে নাটাই ঠাকুরাণীর প্রতি কেবল অতীতকৃপাজনিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিমিত্ত কেহ ব্রতানুষ্ঠান আবশ্যক মনে করেন না। এতদ্দেশে ব্রাহ্মণ সমাজে কন্যার সংখ্যা অল্প। কিন্তু বৈদ্য ও কায়স্থ সমাজে কাহাকেও পুত্রের বিবাহের জন্য বিশেষ বিব্রত হইতে হয় না।

 অন্তঃপুরের প্রাঙ্গণে পূজাস্থল বিচিত্র আলিপনায় সুশােভিত হইয়া থাকে। মধ্যস্থলে এক চতুষ্কোণ ক্ষুদ্র “পুকুর” খনন করা হয়। উহার ভিতর নাটাই ঠাকুরাণী সশরীরে বিরাজমানা থাকেন। আলিপনার সাধারণ চিত্রের একটী নমুনা ৮৭ পৃষ্ঠায় দেওয়া গেল।

 সুনিপুণা মহিলাগণ উদ্ধৃত সাধারণ আলিম্পনের কিয়দংশ পরিবর্ত্তন ও পরিমার্জ্জন পূর্ব্বক চতুর্দ্দিকে নানাবিধ সূক্ষ্ম কার্য্যের অবতারণা করিয়া চিত্র-বৈচিত্র্য প্রদর্শন করিয়া থাকেন।

 সাতটী ছােট কচুপাতা লইয়া একটীর উপর আর একটী রাখিবে। যে পাতাটী অপেক্ষাকৃত সকলের বড় তাহা সর্ব্বনিম্নে, এইরূপ ক্রমান্বয়ে যেটী সর্ব্বাপেক্ষা ক্ষুদ্র তাহা সর্ব্বোপরি রাখিবে। তারপর ঐরূপ ক্রমে সজ্জিত সাতটী তুলসী পত্র কচুপাতা গুলির