পাতা:মেরী কার্পেন্টার - কুমুদিনী মিত্র.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেরী কার্পেণ্টার্।

উন্নতি হয় নাই। তিনি এই শেষ বারেও ইংলণ্ডের এবং ভারতের প্রধান রাজকর্ম্মচারীদিগকে এই বিষয়ে মনােযােগ দিতে একান্ত অনুরােধ করেন।

 এদেশের কল কারখানাগুলিতে যে সকল কুলী, মজুর কাজ করিত, তাহাদের অবস্থা বড় ফ্যাক্টরী আইন। শােচনীয় ছিল। কল-কারখানাতে অল্প বয়স্ক বালকবালিকাগণ কাজ করিত এবং পূর্ণবয়স্ক লােক-দিগকে অতিরিক্ত পরিশ্রম করিতে হইত। অথচ তাহাদের পারিশ্রমিক পর্য্যাপ্ত পরিমাণ ছিল না। মেরী কার্পেণ্টার্ বােম্বাই, আহমেদাবাদ প্রভৃতির কল-কারখানাগুলিতে গিয়া তথাকার শ্রমজীবীদিগের দুরবস্থা দর্শনে ব্যথিতহৃদয় হন; এবং যাহাতে কল-কারখানাতে পাঁচ এবং তদূর্দ্ধ বৎসর বয়স্ক বালকবালিকাদিগের নিয়ােগ এবং পূর্ণবয়য়স্ক ব্যক্তি-দিগের অতিরিক্ত পরিশ্রম নিবারিত হয়, তজ্জন্য তিনি যথা-সাধ্য চেষ্টা করেন। বােম্বাই নগরে কাপড়ের কলের কারখা-নাতে নিয়ােজিত বালকবালিকাদিগের শিক্ষার বন্দোবস্ত করিতে কর্তৃপক্ষকে উপদেশ দেন। তিনি যে স্থানে গমন করিতেন, সেই স্থানেই কারাগারের বন্দী অথবা কারখানার শ্রমজীবীদিগের পরিশ্রমের সময় নির্দিষ্ট করিতে চেষ্টা করি-তেন। তিনি দেখিয়াছিলেন, ইংলণ্ডের ন্যায় ভারতেও আইন

৪৫