“বনের কোড়া মনের কোড়া জন্মকালের ভাই।
তোমার জন্য যদি আমি মল্লুর উদ্দিশ পাই॥”
মায়েরে লইয়া বিনোদ কোড়া সঙ্গে লইল।
বাড়ীঘর ছাইড়া বিনোদ দেশান্তর হইল॥
( ১৬ )
দেওয়ান সাহেবের হাউলীতে মলুয়া
হাউলাতে বসিয়া কান্দে মলুয়া সুন্দরী।
পালঙ্ক ছাড়িয়া বসে জমীন উপরী॥
আরাম খানা আরাম পিনা আইন্যাছে বান্দিরা।
সাম্নে খাড়া দেওয়ান সাব মাথার দিছে কিরা[১]॥
“আমার মাথা খাও কন্যা আমার মাথা খাও।
দুষ্মনি করিয়া আর মোরে না ভারাও॥
আরাম খানা খাইয়া বস পালঙ্ক উপরে।
পিত্থিমীর সুখ আইন্যা দিবাম তোমারে॥
দিল্লি হইতে আইন্যা দিবাম অগ্নি-পাটের সাড়ি।
নাকের বেসর দিবাম তোমার কাঞ্চা সোণায় গড়ি।
বান্দী দাসী আছে যত লেখাযুখা নাই।
অনুগত হইর। তারা মানিবে ফরমাই (স)॥
পালঙ্কে বলিয়া তুমি করিবে আরাম।
জনাবে থাকিবে বান্দা হইয়া গোলাম॥”
হরিণা পড়িয়া যেমন বাঘের কামড়ে।
কাইন্দা কাইন্দা কয় মলুয়া দেওয়ানের গোচরে॥
“বার মাসের বর্ত্ত[২] মোর নয় মাস গেছে।
পরত্তিষ্টা[৩] করিতে আর তিন মাস আছে॥
শুন শুন দেওয়ান সাব কহি যে তোমারে।
পরতিজ্ঞা করহ তুমি আমার গোচরে॥