(১৮)
মৃতের জীবনপ্রাপ্তি
শুইয়াছিল অভাগী মাও আপনার ঘরে।
স্বপন দেখিল সে রাত্র নিশাকালে॥
ঘুমতে উঠিয়। বিনোদ ভাতের দিন তাড়া।
অভাগী মায় উইঠ্যা বলে চাউল নাই কাড়া[১]॥
বিনোদ কহিছে মাও শুন মোর কথা।
“শীগ্গীর কইরা রান্ধ ভাত খাও মোর মাথা॥
কোড়া-শিকারে আমি যাইবাম দূর স্থানে।
বিদায় মাগিছি মাও তোমার চরণে॥”
রাঁধিতে বাড়িতে ভাত দেরী নাহি সয়।
ঘরে ছিল পানিভাত তাই খাইয়া লয়॥
পানিভাত খাইয়া বিনোদ পন্থে মেলা দিল।
কোড়া-শিকারেতে যাইতে মায়ে পন্নামিল[২]॥
ডাইন হাতে হাইরা পিজ্রা বাম হাতে কোড়া।
দুপইরা কালে বিনোদ পন্থে দিল মেলা॥
পন্থে আছিল বইনের বাড়ী উঠিয়া বসিল।
ভাইয়েরে দেখিয়া বইন কান্দিতে লাগিল॥
হেথা হইতে চলে বিনোদ বইনেরে কহিয়া।
গহিন[৩] কাননে গেল কোড়া হাতে লইয়া॥
দুর্ব্বাক্ষেত্রের মধ্যে বিনোদ কোড়া হালা[৪] দিল।
হাইরা পিজ্রা হাতে লইয়া কোড়ারে ছাড়িল॥
কোড়া না ছাড়িয়া বিনোদ কোন কাম করিল।
বন ছোবার[৫] আড়ালে বিনোদ আসিয়া বসিল॥