চারি দিকে চাইয়া নাগর কিছু নাহি পায়।
ফুট্যাছে মালতীফুল সাম্নে দেখতে পায়॥
পুষ্প না তুলিয়া নাগর কোন কাম করে।
লিখিল বিদায়পত্র কপাট উপরে॥
“শৈশবকালের সঙ্গী তুমি যৈবনকালের সাথী।
অপরাধ ক্ষমা কর তুমি চন্দ্রাবতী॥
পাপিষ্ঠ জানিয়া মোরে না হইলা সম্মত।
বিদায় মাগি চন্দ্রাবতী জনমের মত॥”
ধ্যান ভাঙ্গি চন্দ্রাবতী চারিদিকে চায়।
নির্জন অঙ্গন নাহি কারে দেখতে পায়॥
খুলিয়া মন্দিরের দ্বার হইল বাহির।
কপাটে আছিল লেখা পড়ে চন্দ্রাবতী।
অপবিত্র হইল মন্দির হইল অধোগতি॥
কলসী লইয়া জলের ঘাটে করিল গমন।
করিতে নদীর জলে স্নানাদি তৰ্পণ॥
জলে গেল চন্দ্রাবতী চক্ষে বহে পানি।
হেনকালে দেখে নদী ধরিছে উজানী[১]॥
একেলা জলের ঘাটে সঙ্গে নাহি কেহ।
জলের উপরে ভাসে জয়ানন্দের দেহ॥
দেখিতে সুন্দর নাগর চান্দের সমান।
ঢেউয়ের উপর ভাগে পুন্নুমাসীর চান॥
আখিতে পলক নাহি মুখে নাই সে বাণী।
পারেতে খাঁড়াইয়া[২] দেখে উমেদা[৩] কামিনী॥
স্বপ্নের হাসি স্বপ্নের কান্দন নয়ান্ চান্দে গায়।
নিজের অন্তরের দুস্কু[৪] পরকে বুঝান দায়।১—১২৫