( ৪ )
কারকুনের প্রেম ও চিকন গয়লানীর শরণ লওয়া
একদিনত না কমলা গো স্নান করিতে যায়।
আগে পাছে সখীগণ চলে পায় পায়॥
যৌবনের ভারে কন্যা সাম্নে পড়ে এলি[১]।
এরে দেখ্যা সখীগণ দেয় করতালি॥
জলের ঘাটেতে গেল করি উলা মেলা[২]।
এমন সময়ে কারকুন পন্থে দিল মেলা॥
হাত পাও মাঞ্জিয়া কন্যা সানে বান্দা ঘাটে।
ডুব দিতে যায় গো কন্যা জলের নিকটে।
জলেতে সুন্দরী কন্যা ফুটা পদ্মফুল।
কন্যারে দেখিয়া কারকুন হইল আকুল॥
লুকাইয়া বকুলের ডালে মিটায় চক্ষের আশ।
যত দেখে তত তার বাড়ে যে পিয়াস॥
ছান[৩] করিতে যেদিন কন্যা যায় গো ঘাটেতে।
কারকুন লুকাইয়া দেখে কদম্ববৃক্ষেতে॥
মনের আগুন মনে জ্বলে না করে পরকাশ।
অন্ধিসন্ধি[৪] করে কত কেমনে মিটে আশ॥
চাকলাদার বাড়ীতে সেই বৃদ্ধ গোয়ালিনী।
ক্ষীর সর লইয়া নিত্যি করে আনিগুনি[৫]॥
গোয়ালিনীর সঙ্গে কন্যার হইল পরিচয়।
মিলিলে দুইজনে কত রসের কথা কয়॥
গোয়ালিনীর অত ভাব কন্যার যে সনে।
আরও কত ওষধপাতি গোয়ালিনী জানে॥