বাতানে[১] মহিষ আর পালে যত গাই।
কত যে চরিত তার লেখাজুখা নাই॥
পরাণ ভরিয়া কেনা করে দুগ্ধ পান।
তাইতে হইল দুষ্ট এত বলীয়ান॥
পথের পথিকের যদি ক্ষুধাতৃষ্ণা পায়।
পরাণ ভরিয়া সবে গাইয়ের দুধ খায়॥
হইল ডাকাত কেনা দুর্দ্দান্ত এমন।
তাহার তরাসে[২] কাঁপে নল খাগড়া বন॥
সুশুঙ্গ হইতে সেই জালিয়া হাওর।
ঘুরিয়া বেড়ায় কেনারাম নিরন্তর॥
নৌকা বহিয়া সাধু ভাটী গাঙ্গে[৩] যায়।
ধনরত্ন কাড়ি লইয়া সায়রে ডুবায়॥
কত পুত্ত্র হারাইয়া কান্দেত জননী।
ঘরেতে থাকিয়া তবু স্থির নহে প্রাণী॥
এক ডাকে চিনে তারে দস্যু কেনারাম।
উজান ভাটীয়াল জুড়িয়া হইল বদ্নাম॥
যে পড়ে তাহার হাতে নাহি ফিরে দেশে।
মা বাপে দেখল না হায় মরিলা বৈদেশে॥
কেনার নামেতে সবে ভয়ে কম্পমান।
তাহার ভয়েতে কেউ না যান দূরস্থান॥
সন্ধ্যাকালে কেউ না হয় ঘরের বাহির।
আন্ধাইরে করয়ে বাস ভয়েতে অস্থির॥১—৬৪
(৪)
বংশীদাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ
জালিয়া হাওর নাম ব্যক্ত ত্রিভুবন।
দিনেকের পথ জুড়ি নল খাগড় বন॥