পক্ষীর উত্তর—
“কইব কি না কইব রাজা শুন দিয়া মন।
কাইল রাতের যত কথা নাহিক স্মরণ॥
কপালে কইরাছে দোষ পড়িয়াছে দোষে।
কলঙ্কী বলিয়া কন্যায় দেও বনবাসে॥”
তখন রাজায় তার বন্ধুরে কইল এই কথা যে—এই কন্যারে নিয়া সমুদ্রে একটা দ্বীপচরের মধ্যে নির্ব্বাস দিয়া আইস।
গান—
বিদায় মাগে রাজার কাছে কন্যা কাঙ্কণদাসী।
“আইজ হইতে রাজ্য ছাইড়া হইলাম বনবাসী॥
কইরাছি নানান্ দোষ চিত্তে ক্ষমা দিও।
দাসী বলিয়া মোরে মনেতে রাখিয়ো॥
রাখ কি না রাখ মনে তাতে ক্ষতি নাই।
মরণকালে একবার যেন তোমায় দেখতে পাই॥”
নকলরাণীর আগে কন্যা মাগিল বিদায়।
চোখের জলে কাজলরেখা পথ নাহি পায়॥
“কইরাছি নানান দোষ চিত্তে ক্ষমা দিয়ো।
দাসী বলিয়া মোরে মনেতে রাখিয়ো॥”
বিদায় মাগিল কন্যা শুকপংখীর কাছে।
চক্ষের জলেতে কন্যার বসুমতী ভাসে॥
চন্দ্রসূর্য্য সাক্ষী কইরা উঠিল ডিঙ্গায়।
পুরবাসী যত লোক করে হায় হায়॥
(১৯)
খুব বড় এক সমুদ্র। তার কোন দিকে কূল-কিনারা নাই। তার মধ্যে গিয়া ডিঙ্গা পড়ল। তখন রাজার বন্ধু কন্যারে কইতে লাগল—
গান—
“কাঞ্চনপুরে আমার বাড়ীলো কন্যা নাম সোনাধর।
বড় বাপের বেটা আমি কন্যালো বাপ কোটীশ্বর॥