এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
মৈমনসিংহ-গীতিকা
(১৭)
সম্মুখে পার্ব্বত্য নদী; নদের চাঁদ ও মহুয়া তীরে দাঁড়াইয়া
“বাপের বাড়ীর তাজী ঘোড়া আরে আমার মাথা খাও।
যেই দেশেতে বাপ মাও সেই দেশেতে যাও॥
বাপের আগে কইও ঘোড়া কইও মায়ের আগে।
তোমার কন্যা মহুয়ারে খাইছে জংলার[৩] বাঘে॥”
লাগাম ছাড়িয়া ঘোড়ার পৃষ্ঠে মাইল থাপা[৪]।
ছুট্যা গেল দৌড়ের ঘোড়া যথায় বাদ্যার দফা[৫]॥
“বিস্তার[৬] পাহাড়ীয়া নদী ঢেউয়ে মারে বাড়ি।
এমন তরঙ্গ নদীর কেমনে দিবাম পারি॥
চর পইড়া যাওরে নদী দুইচার দণ্ডের লাগি।
পার হইয়া যাইবাম মোরা এই ভিক্ষা মাগি॥”
নদীতে না পড়ল চর উজান বাঁকে পানি।
“এইনা আসে সাধুর ডিঙ্গা ভরা বোঝাই খানি॥
পক্ষী নয় পক্ষী নয়রে উড়াইয়া দিছে পাল।[৭]
এই সে নৌকায় উঠ্যা যাইবাম যা থাকে কপাল॥