এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মহুয়া
২৭
শুন্রে ভিন দেশী সাধু বাণিজ্যকারণ।
কত দেশে যাওরে তোমরা ভরম তিরভুবন॥
গইন[১] গম্ভীরা নদী সাঁতার না জানি।
পার কইরা দিলে বাঁচে এ দুটী পরাণি॥”
কন্যারে দেখিয়া সাধু মন হইল পাগল।
মাঝিমাল্লায় ডাক দিয়া কয় সদাগর॥
কুলেতে ভিরায় নাও উঠে দুইজন।
চলিল সাধুর নাও পবনগমন॥ ১—২২
(১৮)
সাধুর ডিঙ্গায়
এদিকে হইল কিবা শুন বিবরণ।
কন্যারে পাইতে সাধু চিন্তে মনে মন॥
দেখিয়া কন্যার রূপ সাধু পাগল হইল।
মাঝিমাল্লায় ডাক দিয়া সাধু সল্লা[২] যে করিল॥
উজান পাকে সাধুর ডিঙ্গা উজাইয়া যায়।
জলে ভাসে নদ্যার ঠাকুর ঘট্লো একি দায়॥
বানের মুখে কালা ঢেউ পাক দিয়া করে তল।[৩]
ঢেউয়ের পাকে[৪] ন্যার ঠাকুর পইড়া হইল তল॥
“না দেখিল[৫] বাপে আরে না দেখিল মায়।
পড়িয়া দুষ্মনের হাতে আমার প্রাণ যায়॥
বিদায় দেও কন্য। আরে এই না বিদায় মাগি।
তোমার আমার শেষ দেখা ইহ জন্মের লাগি॥”