এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মহুয়া
২৯
রাত্রিকালে শুইব দোয়ে জোর মন্দির ঘরে[১]।
শীতের রজনীতে কন্যা থাকবা আমার উরে॥
শয্যায় পাইলে বেথা শুইবা আমার বুকে।
বানাইয়া পানের খিলী তুইল্যা দিবাম মুখে॥
আমি খাইবাম তুমি খাইবা কন্যা থাকবাম দুইজনে
তোমায় লইয়া যাইবাম বাণিজ্যকারণে॥
হীরামণি যথায় পাইবাম ভালা বান্যা[২] দিয়া।
লক্ষ টাকার হার তোমায় দিবাম গড়াইয়া॥
আর যে কত দিবাম কন্যা নাহি লেখাযোখা।
সোনাতে বান্ধাইয়া দিবাম কামরাঙ্গা শাখা[৩]॥
উদয়তারা সাড়ী দিবাম লক্ষ টাকা মুল।
হীরামণি দিয়া তোমার জুইরা দিবাম চুল॥
চন্দ্রহার গড়াইয়া দিবাম নাকে দিবাম নথ।
নূপুরে ঝুনঝুনি কন্যা দিবাম শত শত॥”
এতেক শুনিয়া মহুয়া কি কাম করিল।
সাধুর লাগিয়া কন্যা পান বানাইল॥
পাহাড়ীয়া তক্ষকের বিষ শিরে বান্ধা ছিল।
চুন-খয়েরে কন্যা বিষ মিশাইল॥
হাসিয়া খেলিয়া কন্যা সাধুরে পান দিল মুখে।
রসের নাগইরা[৪] পান খায় সুখে॥