পাতা:মোগল-বিদুষী.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গুল্‌বদন্‌

পুত্রের ব্যাধি আমি নিজ দেহে গ্রহণ করিতে সমর্থ হইয়াছি!’ ক্রমে সুস্থকায় বাদ্‌শাহ্ ব্যাধিগ্রস্ত এবং তাঁহার মরণাহত নির্জ্জীব পুত্র সঞ্জীবিত ও সুস্থ হইলেন।

 তারপর রাজ্যের প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণ আহূত হইয়া সম্রাটের সম্মুখে উপস্থিত হুইলে, তিনি যুবরাজ হুমায়ূনকে তাহাদের হস্তে অর্পণ ও রাজ্যের উত্তরাধিকারী বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়া সানন্দে সন্তুষ্টচিত্তে চিরশান্তিময় অমরলোকে প্রস্থান করিলেন (২৬শে ডিসেম্বর, ১৫৩০)। অতৃপ্ত রহিল,—সম্রাটের কীর্ত্তিসূচিত, বিশাল ভারতের রাজ্যভোগ-বাসনা; পড়িয়া রহিল —শোকস্মৃতিসমাচ্ছন্ন প্রাণপ্রতিমা প্রেয়সী মাহম্, বিচ্ছেদকাতর রোরুদ্যমান্ সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়স্বজন।


 বাবরের পরলোকগমনের পর হুমায়ূন্ যখন ভারতের রাজতক্তের অধিকারী হইলেন, তখন তাঁহার বয়স ২২ বৎসৱ। ইতিপূর্ব্বে এদেশের অভিনব শান্তিসুখকর আবহাওয়া তাঁহার তরল স্বভাবের উপর অপরিসীম প্রভাব বিস্তার করিতে আরম্ভ করিয়াছিল;—তিনি বিলাসী, আলস্যপরতন্ত্র ও অহিফেনসেবী হইয়াছিলেন। প্রবীণ, চিরসতর্ক, মহাবল বাবরের শৌর্য-বীর্য্য ও শাসনের নিকট যে-সকল শত্রু এতদিন অবনতশির ছিল, এই তরুণ সম্রাটের শিথিল-শাসনের সুযোগে তাহারা আবার মহোৎসাহে মস্তকোত্তলন করিল। রাজপরিবারেও ঘোর অশান্তির

১১