পাতা:মোগল-বিদুষী.djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মোগল-বিদুষী
অকাতরে আশাতীতরূপে তাহা পূর্ণ করিব।’ অতঃপর যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতি অধ্যক্ষের স্থান ও কার্য্য নির্দ্দেশ করিয়া দিয়া হিন্দাল নিজের অস্ত্র ও বর্ম্ম আনিতে বলিলেন। কিন্তু পরিচ্ছদ-রক্ষক হস্ত প্রসারণ করিবামাত্র পশ্চাতে হাঁচি পড়িল;—অমঙ্গল আশঙ্কায় তাহার আর হাত উঠিল না।
“পরে যখন অস্ত্র বর্ম্ম লইয়া রক্ষক হিন্দালের নিকট উপস্থিত হইল, রাজভ্রাতা তাহার অকারণ বিলম্বের কারণ জানিতে চাহিলেন। রক্ষক সকল কথা নিবেদন করিলে, হিন্দাল্ বলিলেন,—‘ছি, ছি, তুমি ভুল করিয়াছ। অমঙ্গল-আশঙ্কায় নিবৃত্ত না হইয়া তোমার বরং বলা উচিত ছিল, খোদার আশীর্ব্বাদে আজিকার আত্মদান যেন সার্থক হয়।’ তিনি উপস্থিত সকলকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন,—‘বন্ধুগণ! তোমরা সাক্ষী, আমি এখন হইতে সর্ব্বপ্রকার নিষিদ্ধ ভক্ষ্য ও অন্যায়াচরণ পরিত্যাগ করিলাম।’ সকলে একযোগে আশীর্বচন উচ্চারণ করিলেন। হিন্দাল অস্ত্র বর্ম্ম পরিধান করিয়া পরিখায় পরিখায় উপস্থিত হইয়া সৈনিকগণকে উৎসাহিত করিতে লাগিলেন। সেই সময় তাঁহার জনৈক অনুচর সহসা চীৎকার করিয়া উঠিল,—‘দুশমন দুশমন! খুন খুন!’ হিন্দাল্ তৎক্ষণাৎ অশ্ব হইতে অবতরণ করিয়া বলিলেন,—‘অসিমুখে-বিপন্ন নিজ অনুচরকে যে রক্ষা না করে, সে কাপুরুষ!’ কিন্তু তাঁহার সঙ্গিগণের একজনও

৩৬