করিতে পারেন নাই। নিজে সফলকাম না হইলেও ইস্লাম ধর্ম্মের এই পবিত্র কর্তব্যপালনে-সমুৎসুক ব্যক্তিগণকে সম্রাট্ মুক্তহস্তে অর্থসাহায্য করিতেন, এবং প্রতি বৎসর জনৈক যোগ্য ব্যক্তিকে অধিনায়ক নির্ব্বাচিত করিয়া যাত্রীদের পাথেয় প্রভৃতির ব্যয় নির্ব্বাহার্থ তাহার হস্তে উপযুক্ত অর্থ ও দ্রব্যসম্ভার দিতেন। সম্রাট্ আক্বর বৎসর বৎসর তীর্থগমনাকাঙ্ক্ষা এইরূপে তৃপ্ত করিতে লাগিলেন; কিন্তু গুল্কে তীর্থগমনে বিরত রাখা তাঁহার পক্ষে ক্রমেই দুঃসাধ্য হইয়া উঠিল। অবশেষে সম্মতি প্রদান করিয়া তিনি পিতৃস্বসার তীর্থযাত্রার সর্ব্বপ্রকার সুব্যবস্থা করিয়া দিলেন।
তীর্থযাত্রিগণের মধ্যে গুল্বদনের আত্মীয়ার সংখ্যাই অধিক। আবুল্-ফজল্, গুলের সহযাত্রীদলের মধ্যে কেবল প্রধানা মহিলাগণেরই নামোল্লেখ করিয়াছেন। যাত্রীদলের সমগ্র ব্যয়ভার রাজকোষ হইতে বহন করা হইয়াছিল। গুলের প্রধানা সঙ্গিনী ছিলেন—আক্বর-পত্নী সলীমা সুলতান্ বেগম। মুসলমান-বিধি অনুসারে সধবা স্ত্রীলোকের তীর্থগমন নিষিদ্ধ নহে,—ভার্য্যার প্রবল আগ্রহ থাকিলে তাঁহাকে তীর্থগমনে অনুমতিদান অপরিহার্য্য। সম্ভবতঃ ঐরূপ নির্ব্বন্ধাতিশয্যেই সলীমার তীর্থযাত্রা ঘটিয়াছিল। ইঁহাদের সঙ্গে ছিলেন, আক্বরের খুল্লতাত অঙ্করীর বিধবা-পত্নী সুলতানাম্; কামরানের দুই কন্যা—হাজী ও গুল্-ইজার বেগম; এবং গুল্বদনের পৌত্রী উম্-ই-কুলসুম্;—ইনি সাদৎ-ইয়ারের কন্যা কি না উল্লিখিত নাই। তালিকার শেষ নাম খিজর্ খাজা-
৪৬