হুমায়ূন্-নামা
বিংশ শতাব্দীর পূর্ব্বে যাঁহারা মোগল-রাজবংশের কথা আলোচনা করিয়া গিয়াছেন, তাঁহাদের কেহই গুলবদনের ‘হুমায়ূন্-নামা’র সহিত পরিচিত ছিলেন না। সুপণ্ডিত ব্লকমানের পক্ষে ফার্সী পুঁথির সহিত পরিচয়লাভের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ছিল; কিন্তু গুল্বদন্ বেগমের হুমায়ূন্-নামার কথা তাঁহারও জানা ছিল না; থাকিলে গুল্বদনকে তিনি ‘আকবরের বেগম’ বলিয়া অনুমান করিতেন না! (Ain-i-Akbari, i. 48)
হুমায়ূন-নামার ফার্সী পুঁথিখানি ১৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে কর্ণেল জর্জ্জ উইলিয়াম্ হ্যামিল্টনের বিধবার নিকট হইতে ক্রয় করা হয়। সেই অবধি ইহা ব্রিটিশ মিউজিয়মে স্থান পাইয়াছে। বাখরগঞ্জের ইতিহাস-প্রণেতা সুপ্রসিদ্ধ বেভারিজ সাহেবের বিদুষী পত্নী ইহার ইংরাজী অনুবাদ প্রকাশ করিয়া আমাদের ধন্যবাদভাজন হইয়াছেন।
‘আকবর-নামা’ আবুল ফজলের রচিত বাদশাহ্ আকবরের রাজত্বকালের সুবৃহৎ সরকারী ইতিহাস। এই গ্রন্থের উপাদান সংগ্রহ করিয়া দিবার জন্য বাদশাহ্ এক হুকুম জারি করেন। ইহার ফলে, হুমায়ূনের আফ্তাব্চী (পানপাত্রবাহক) জৌহর, এবং আকবরের বকাওলবেগী (রাজরন্ধনশালার পরিদর্শক) বায়াজীদ্ বীয়াতের স্মৃতিকথা রচিত হয়। বাদশাহ্ আক্বরের
৫৯