চেষ্টা করিয়াছেন। তাঁহার গ্রন্থের তারিখগুলিও সাবধানে গ্রহণ করা উচিত।
দুঃখের বিষয়, ব্রিটিশ মিউজিয়মে রক্ষিত হুমায়ূন্-নামার এই পুঁথিখানি অসম্পূর্ণ—শেষের কয়েক পৃষ্ঠা হারাইয়া গিয়াছে। হুমায়ূনের ভারত-বিজয়ের পূর্ব্বাবধি—মীর্জ্জা কামরান্কে অন্ধ করিয়া দেওয়া পর্য্যন্ত—এই খণ্ডিত পুঁথির শেষ সীমা। বায়াজীদ্ বীয়াতের স্মৃতিকথা—তারিখ-ই-হুমায়ূন্—সম্পূর্ণ হইলে তাহার নয়খানি পুঁথি নকল করা হয়। দুইখানি বাদশাহের পাঠাগারে, সলীম্ মুরাদ ও দানিয়াল্—তিন কুমারকে তিনখানি, গুলবদনের পাঠাগারে একখানি, এবং দুইখানি আবুল ফজলকে দেওয়া হয়; বাকি একখানি সম্ভবতঃ গ্রন্থকার নিজে রাখিয়াছিলেন। গুলবদনের হুমায়ূন্-নামাও একই উদ্দেশ্যে রাজাদেশে রচিত হয়, এবং বায়াজীদের পুঁথির মত, ইহারও যে একাধিক পুঁথি নকল হইয়াছিল, এরূপ অনুমান অসঙ্গত নহে। কিন্তু ব্রিটিশ মিউজিয়মে রক্ষিত পুঁথিখানি ছাড়া গুলবদনের গ্রন্থের দ্বিতীয় পুঁথি অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই।
৬২