যে আরও কত সুন্দর হইত,—তাঁহার দীপ্ত প্রতিভা যে আরও কত সৌন্দর্য্যের বিকাশ-সাধন করিত, তাহা কে বলিতে পারে? যাঁহার জীবনের বিশিষ্ট সময়ই কঠোর কারাবাসে অতিবাহিত হইয়াছে, তাঁহার ইতিহাস আর কেমন করিয়া ঘটনাবহুল হইবে? কিন্তু যে অত্যল্পকাল তিনি স্বীয় প্রতিভা-বিকাশের অবসর পাইয়াছিলেন, তাহা হৃদয়বান্ ব্যক্তিগণ অতুল সম্পদ্ বলিয়া সাদরে বরণ করিয়া লইবেন, সন্দেহ নাই।
বাদ্শাহ্জাদীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার যে কোনরূপ ক্রটি হয় নাই, তাহা বলা বাহুল্য। এই উপলক্ষে সম্রাট্, কন্যার পরলোকগতআত্মার শান্তিবিধানের জন্য সৈয়দ আম্জাদ্ খাঁ, শেখ্ আতাউল্লা, এবং হাফিজ্ খাঁকে বহু মুদ্রা দান-খয়রাৎ করিতে আদেশ করেন। দিল্লীর কাবুলী-তোরণের বহির্ভাগে, জহান্-আরা-প্রদত্ত, ‘তিশ্হাজারী’ উদ্যানে জেব্কে সমাহিত করা হয়। (M. A., 462). কিন্তু এখন আর সে সমাধি-ভবনের অস্তিত্ব নাই,—রাজপুতানা-মাল্ওয়া রেলপথ-নির্ম্মাণকালে তাহা বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে।
৭১