করিয়া ছাড়িতেন না, ইহা নিশ্চয়। তাঁহার কেচ্ছাতেও কিন্তু জেবৃ-উন্নিসার প্রণয়-কাহিনীর আভাসমাত্র নাই। এক কথায় ঐ প্রণয়-কাহিনী সত্য হইলে, উদ্ধৃত গ্রন্থনিচয়ের একখানিতেও অন্ততঃ তাহার উল্লেখ থাকিত। তাহা যখন নাই, তখন বুঝিতে হইবে উহা উর্ব্বর-মস্তিষ্কের কল্পনাপ্রসূত।
জেব্-উন্নিসার কলঙ্ক-কাহিনী ঊনবিংশ শতাব্দীর উর্দ্দূ-লেখকগণের কুকীর্ত্তি! আধুনিক উর্দ্দূ-গ্রন্থকারগণের আখ্যায়িকা ব্যতীত ইহার সন্ধান আর কোথাও পাইবার সম্ভাবনা নাই, এবং সম্ভবতঃ লক্ষ্ণৌ শহরেই ইহার সৃষ্টি। লাহোরের মুনশী আহ্মদ্-উদ্দীন্, বি-এ মহাশয়ের ‘দুর্র্-ই-মক্তুম্’ নামে জেব্-উন্নিসার একখানি তথাকথিত জীবন-চরিত বর্তমানে প্রচলিত। এই গ্রন্থেই আমরা জেবের কলঙ্ক-কাহিনীর কথা প্রথম দেখিতে পাই। গ্রন্থকার আবার এই পুস্তকের জন্য মুন্শী মুহম্মদ-উদ্দীন্ খালিকের ‘হাইয়াৎ-ই-জেব্-উন্নিসা’ নামক গ্রন্থ হইতে উপাদান সংগ্রহ করেন।
বিবি ওয়েষ্টব্রূক্ তাঁহার পুস্তকের ভূমিকায় (Diwan of Zeb-un-Nisa, pp. 14-17), জেবের প্রণয়-কাহিনীর এক সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়াছেন। কিন্তু উহা লেখিকার মৌলিক গবেষণার ফল নহে―স্পষ্টতঃ মুন্শী আহ্মদ্-উদ্দীনের উর্দ্দূ-গ্রন্থের চর্ব্বিতচর্ব্বণ! বিবরণটি এইরূপ:—
৭৯