পাতা:মোগল-বিদুষী.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জেব্-উন্নিসা
হাঁড়ি লইয়া হাজির! প্রেমিক-কবি উজীর-পুত্রের এই প্রেমভিক্ষার বেশ অতি অপূর্ব্ব সন্দেহ নাই; কিন্তু তিনি নিরুপায়। এই ছদ্মবেশ ধরিয়াই না কি তাঁহাকে প্রহরীর চক্ষে ধূলি দিয়া উদ্যানে প্রবেশ করিতে হ‍ইয়াছিল। বাদ্‌শাহ্‌জাদী তখন ‘চৌসার’ খেলায় মত্ত। আকিল্ নিকটবর্ত্তী হইয়া বলিলেন, ‘তোমার আশায় আমি ধূলিকণার ন্যায় হইয়া সারা পৃথিবী ঘুরিয়া বেড়াইতেছি।’ জেব্ বলিলেন, ‘তুমি বায়ুর আকার ধারণ করিলেও আমার কেশাগ্র স্পর্শ করিতে পারিবে না।’
“আকিলের সহিত জেবের ঘন ঘন সাক্ষাৎ হইতে লাগিল। সকল কথা গোপনে থাকিবার নহে,—বিশ্বদূত জনরবের মারফৎ দিল্লীতে গিয়া আওরংজীবের কর্ণে উঠিল। বাদশাহ্ কালবিলম্ব না করিয়া লাহোরে পৌঁছিলেন; স্থির হইল, অবিলম্বে কন্যার বিবাহ দিয়া গোলযোগের অবসান করিবেন। কন্যা পিতাকে জানাইলেন যে, তিনি স্বয়ংবরা হইবেন; অতএব যাঁহারা তাঁহার পাণিপ্রার্থী তাঁহারা যেন তাঁহাদের প্রতিকৃতি পাঠাইয়া দেন। বলা বাহুল্য, জেব্ অতঃপর আকিল্‌কেই স্বামিত্বে বরণ করিবার সঙ্কল্প করেন। আওরংজীব তদনুসারে আকিল্‌কে ডাকিয়া পাঠান। কিন্তু জেব্-উন্নিসার এক ব্যর্থ প্রেমিক মধ্য হইতে বিভ্রাট্ ঘটাইল; সে আকিল্‌কে লিখিয়া জানাইল যে, ‘সম্রাট্-কন্যার প্রণয়পাত্র হওয়া ছেলেখেলা

৮১