তাহা হইলে আমরা নিঃসন্দেহরূপে জানিতে পারিতেছি যে, সম্রাটের আদেশে যুবা আকিল্ খাঁর পূর্ব্ববর্ণিত মৃত্যু-কাহিনী সম্পূর্ণ মিথ্যা। আওরংজীবের সিংহাসন অধিকারার্থ যুদ্ধগমনের পূর্ব্বে তাঁহার পরিবারবর্গ যে দুর্গে আশ্রয় লাভ করিয়াছিলেন, (৬ই ফেব্রুয়ারী হইতে ডিসেম্বর ১৬৫৮) তাহার রক্ষণাবেক্ষণের ভার অন্ততঃ ৩০ অপেক্ষা কমবয়স্ক কোন লোকের উপর অর্পিত হওয়া কখনই সম্ভবপর নহে। আর পূর্ব্বেই উল্লিখিত হইয়াছে, ১৬৬১ খ্রীষ্টাব্দে আকিল্ ছুটির জন্য যে আবেদন-পত্র প্রেরণ করেন, তাহাতে প্রকাশ, তৎকালে তাঁহার বয়ঃক্রম ৫০ বৎসরের ঊর্দ্ধ; সুতরাং ১৬৯৬ খ্রীষ্টাব্দে মৃত্যুকালে আকিল্ খাঁর বয়ঃক্রম যে ৮৫ বৎসরের অধিক হইয়াছিল, তাহা নিঃসন্দেহ।
এখন আকিল্ খাঁর জীবন-বিবরণ হইতে দেখা যাউক, কোন্ কোন্ সময়ে তিনি ও জেব্-উন্নিসা একই স্থানে অবস্থান করিয়াছিলেন—
(১) ১৬৫৮ খ্রীষ্টাব্দে দৌলতাবাদে মাস-দশেকের জন্য।
(২) ১৬৬৩ খ্রীষ্টাব্দে লাহোরে এক সপ্তাহের জন্য।
(৩) ইহার পর হইতে ১৬৬৯ খ্রীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে পদত্যাগ পর্য্যন্ত সময় দিল্লী ও আগ্রার রাজদরবারে।
(৪) ১৬৮০ খ্রীষ্টাব্দের ৬ই মে জেব্-উন্নিসা দিল্লী হইতে আজ্মীরে পৌঁছেন। ইহার অনেক পূর্ব্বেই মারওয়াড় ও মিবারের সহিত যুদ্ধহেতু বাদ্শাহ্, আকিল খাঁ-সহ আজ্মীরে আগমন করেন; কাজেই ১৬৮০ খ্রীষ্টাব্দের মে মাস হইতে ১৬৮১ খ্রীষ্টাব্দের
৮৬