পাতা:মোগল-বিদুষী.djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মোগল-বিদুষী
কোন পুলিন্দা প্রাসাদস্থ ললনাগণের কক্ষে লইয়া যাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ; কাজেই ইহা সুনিশ্চিত যে, এক্ষণে [আমাকে?] কাগজপত্র বিশেষ বিবেচনা করিয়া পাঠাইতে হইবে।”

 এই আকিল্‌ই কি তবে জেব-উন্নিসার প্রণয়াস্পদ কবি— আকিল্ খাঁ রাজী? না,—আমাদের মনে হয়, তাহা নহে। এই সময়ে কুমার আক্‌বরের শিবিরে মুহম্মদ আকিল্ নামে একজন মুল্লা অবস্থান করিতেন। ইনিই পরে আক্‌বরের স্বপক্ষে, আওরংজীবকে সিংহাসনচ্যুত করিবার জন্য ব্যবস্থা (‘ফতাওয়া’) দিয়াছিলেন এবং তাহার ফলে, আক্‌বরের পরাজয়ের পর বাদ্‌শাহ্ কর্তৃক কারাবদ্ধ হন ও প্রহারলাভ করেন। জেব্-উন্নিসা ধর্ম্মগ্রন্থ কোরাণে বিশেষভাবে ব্যুৎপন্ন ছিলেন; তাঁহারই পৃষ্ঠপোষকতায় মুসলমান-ধর্মগ্রন্থের কয়েকখানি ভাষ্য রচিত হইয়াছিল; কাজেই তাঁহার সহিত মুল্লা মুহম্মদ্ আকিলের ন্যায় একজন বিখ্যাত ধর্ম্মতত্ত্বালোচনাকারীর পত্র-ব্যবহার যে কেহ সন্দেহের চক্ষে দেখিত না, তাহা স্বাভাবিক। কুমার আক্‌বরের পত্রের মর্ম্ম এই যে, তাঁহার নিজের মোহরযুক্ত পুলিন্দা পাঠাইলে পাছে শত্রুহস্তে পতিত হয়, এই কারণে তিনি ভগিনী জেব্-উন্নিসাকে যে-সমস্ত গোপনীয় পত্র লিখিতেন, তাহা আকিলের পত্রের মধ্য দিয়া প্রেরিত হইত; কেন না, তাহা বিনা বাধাবিঘ্নে জেবের নিকট পৌঁছিত। পত্রখানির শেষাংশ হইতে এ কথা আরও পরিস্ফুট হইবে—

৮৮